অক্টোবরে আসতে পারে ফাইজারের করোনা ভ্যাকসিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক ও যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে আসতে পারে। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর সাহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ফাইজার ও বায়োএনটেক আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি অথবা নভেম্বরের শুরুর দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হবে।

সিএনএনকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সাহিন বলেন, ভ্যাকসিনটির চমৎকার প্রোফাইল রয়েছে এবং আমি এটিকে প্রায় নিখুঁত হিসেবে বিবেচনা করছি।

মার্কিন ও জার্মান ওষুধপ্রস্তুতকারক জায়ান্ট এ দুই কোম্পানি বলেছে, চলতি বছরের শেষের দিকে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন বিএনটি১৬২—এর ১০ কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১৩০ কোটি ডোজ সরবরাহের পরিকল্পনা চলছে।

এর আগে, গত জুলাইয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ও স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের সঙ্গে ফাইজারের ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী— ফাইজার ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিনটির অতিরিক্ত আরও ৫০ কোটি ডোজ পাবে যুক্তরাষ্ট্র।

বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উগুর সাহিন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, চলমান পরীক্ষায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেসব ডেটা আসছে তাতে ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে তাদের অগাধ আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। অক্টোবরে চূড়ান্ত ফল এলে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের জরুরি অনুমোদন মিলবে বলেও আশাবাদী তিনি।

তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের একটি নিরাপদ পণ্য আছে। এটাও বিশ্বাস করি যে, আমরা ভ্যাকসিনটির কার্যকরীতাও দেখাতে সক্ষম হবো।

এই ভ্যাকসিন তরুণ ও বয়স্কদের শরীরে করোনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন সাহিন। এতে হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও তা এক থেকে দুদিনের মধ্যে চলে যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ফাইজার এবং বায়োএনটেক বলছে, মধ্য-অক্টোবরেই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন মিলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেছেন, তারাও এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিনটি আসার ব্যাপারে আশাবাদী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের যে ৩৪ টি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে, ফাইজার এবং বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনটি সেগুলোর একটি।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনার প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ অঞ্চলে প্রাণ কেড়েছে ৯ লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭৭ লাখের বেশি।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।