করোনার চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ আনছে ফাইজার
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার পর এবার খাওয়ার ওষুধ আনতে যাচ্ছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার। সব ঠিকঠাক থাকলে ওষুধটি আগামী বছরই বাজারে আসতে পারে। গত মঙ্গলবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আলবার্ট বোরলা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক যৌথভাবে করোনারোধী টিকা তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।
সাক্ষাৎকারে ফাইজারের সিইও বলেন, আমরা আসলে দুটি জিনিস নিয়ে কাজ করছি। একটি ইনজেশনের মাধ্যমে দেয়ার, অন্যটি মুখে গ্রহণের ওষুধ (অ্যান্টি-ভাইরাল)।
এর মধ্যে খাওয়ার ওষুধটিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মুখে খাওয়ার ওষুধে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো—এই ওষুধ গ্রহণের জন্য রোগীকে হাসপাতালে যেতে হবে না। ঘরে বসেই সেটি গ্রহণ করা যাবে।
ওষুধটি বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আলবার্ট বোরলা বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে, আমরা এখন যে গতিতে কাজ করছি সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং নিয়ন্ত্রকরা একইভাবে কাজ করলে আশা করি, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ওষুধটি তৈরি হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত একটি ‘অ্যান্টি-ভাইরাল’ ওষুধ অনুমোদন পেয়েছে। সেটি হলো রেমডেসিভির। মার্কিন প্রতিষ্ঠান গিলিয়েড সায়েন্সেসের তৈরি ওষধুটি গত অক্টোবরে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের পূর্ণ অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। তার আগে গত বছরের মার্চে ওষুধটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল সংস্থাটি।
আলবার্ট বোরলা জানান, তারা মুখে গ্রহণের যে ওষুধটি নিয়ে কাজ করছেন, সেটি করোনার বিভিন্ন ধরন মোকাবিলায় আরও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিষয়টিকে সবার জন্য সুসংবাদ হিসেবে দেখছেন তিনি।
সূত্র: এএনআই, এনডিটিভি
কেএএ/জিকেএস