সংক্রমণ বাড়লে আরও কঠোর বিধিনিষেধ: মমতা

জ্যোতির্ময় দত্ত জ্যোতির্ময় দত্ত , পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২২
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়/ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি মানুন, তা না হলে যদি সংক্রমণ বাড়ে সেক্ষেত্রে আরও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। আগামী ১৫ দিন রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) নবান্নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মমতা বলেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত রোগী ৪৫ হাজার ৪১৭ জন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ অব্স্থায় ৪০৫টি সংক্রমিত এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো অনেকে মাস্ক পডরছেন না, বিধিনিষেধ মানছেন না। এ ব্যাপারে পুলিশকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে ঘরে থেকে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার একটা ভিডিও কনফারেন্স রয়েছে। সেটা আমি কালিঘাটের বাড়ি থেকেই করবো। এছাড়া চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে।

তিনি বলেন, বাড়ির কারো করোনা হলে সবাইকে আইসোলেশনে থাকা উচিৎ। আমার বাড়িতে একজনের হয়েছে। ছোটো ভাইয়ের বউয়ের। তা সত্ত্বেও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আমি খুব অফেন্ডেট এটা নিয়ে। আমি ওকে বারণ করেছি। চ্যারিটি বিগিনস এট হোম।
আমি মনে করি প্রশাসন জোর করে কাউকে অ্যারেস্ট করে মাস্ক পরাতে পারে না। এটা নিজেদের বুঝতে হবে। আমি বিভিন্ন পূজা কমিটিগুলোকেও অনুরোধ করবো সবাইকে মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করুন।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ট্রেন বন্ধ করলে তখন বলবেন কেন বন্ধ করলো। না করলেও বলবেন। তাহলে কী করবো বলুন তো? অনেকেই কথা শুনছেন না। আমি পুলিশকে বলবো একটু কড়া হাতে মোকাবিলা করতে।

এ সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ১০ কোটি ৭৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী ৬ কোটি ৫৪ লাখ ৪ হাজার ১৩২ জনকে প্রথম ডোজ ও ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩ হাজার ৪৩৭ জনকে দ্বিতীয় ডোজ হয়েছে। এছাড়া ১৮ বছরের নিচে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৩৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দয়া করে সেকেন্ড ডোজ নিয়ে নিন। পজিটিভিটি রেট বেড়েছে। আমি সাগরে গিয়েছিলাম, সব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের করোনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যের সীমান্তগুলোতে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হোক। লোকবল কম থাকলে প্রয়োজনে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হোক।

ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।