মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: আরও ৩ আসামির স্বীকারোক্তি
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যা মামলায় আরও ৩ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- তারেক রহমান রবিন, নান্নু কাজী ও রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু।
বুধবার (২৩ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আসামি নান্নুর, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান আসামি রবিনের ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান আসামি রিজওয়ানের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
- আরও পড়ুন
সোহাগের রক্ত গায়ে মেখে ও মরদেহের ওপর লাফিয়ে উল্লাস করেন আসামিরা
এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দেন সোহাগের বোন: ডিএমপি কমিশনার
এ নিয়ে মামলাটিতে ৮ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া অপর ৫ আসামি হলেন- সজিব ব্যাপারী, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান মহিন ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। আসামি তারেক রহমান রবিন একই ঘটনার অস্ত্র মামলায়ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
এমআইএন/কেএসআর