গুলশানে চাঁদাবাজি: জানে আলমের দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২৫
জানে আলম ওরফে অপু

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম ওরফে অপু দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জামসেদ আলমের আদালত এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

চারদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপু দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে দুপুর দুইটা থেকে পৌনে ছয়টা পর্যন্ত আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিনজন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এক জনের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আমিনুল নামে ছাত্রসংসদের আরেক নেতাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়৷

২ আগস্ট জানে আলমের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৩ আগস্ট রিয়াদ এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। বাকি ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আসামিরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। গ্রেফতাদের পর সংগঠন দুটি থেকে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

১ আগস্ট সকালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে জানে আলমকে গ্রেফতার করা হয়।

চাঁদাবাজির এ ঘটনায় ছয়জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। মামলার এজাহারে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের বাইরে জানে আলম ওরফে অপুসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন। তারা শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবি করেন। অপারগতা প্রকাশ করলে, তাকে আওয়ামী লীগের ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেয়। সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেন।

গত ১৯ জুলাই রাতে ফের বাকি ৪০ লাখ টাকার জন্য তারা ওই বাসায় যায়। সেদিনও হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ২৬ জুলাই চাঁদার বাকি টাকা আনতে ওই বাসায় গেলে ঘটনাস্থল থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বাকি চারজন হলেন ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন।

এমআইএন/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।