মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত
১০ কোটি টাকা ও স্থায়ী চাকরির দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদ (৩৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের জীবনযাপনের নিশ্চয়তা হিসেবে ১০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা এবং আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পরিবারের একজন সদস্যকে স্থায়ী চাকরি প্রদানের দাবি জানানো হয় নোটিশে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এনামুল হক নবীন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিবসহ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবরে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে জানা যায় যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ডিএমটিসিএলের এমআরটি লাইন-৬ এর ফার্মগেট স্টেশন সংলগ্ন পিলার নম্বর ৪৩৩ থেকে দুটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে যায়। এর মধ্যে একটি বিয়ারিং প্যাড পথচারী আবুল কালাম আজাদের মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। পাশাপাশি তার অর্থায়নেই ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চলছিল।
আরও পড়ুন:
ব্যয়বহুল মেট্রোরেলে নিরাপত্তাঝুঁকি
মেট্রোরেলে নির্মাণত্রুটি আছে, কনসালট্যান্টকে দায়বদ্ধ করতে হবে
মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা: রেল উপদেষ্টা
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা, ত্রুটিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তাহীন পরিচালনার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ নিয়মিত স্থাপনা ও সরঞ্জামাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। এমন গাফিলতির ফলে জননিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা ও চাকরির প্রস্তাব অত্যন্ত সামান্য, অযৌক্তিক এবং ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি অবমাননাকর। নিহতের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ৩০ দিনের মধ্যে পরিবারের একজনকে মেট্রোরেলে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে।
উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে সতর্ক করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক নজির হয়ে থাকবে বলে বলা হয়েছে।
আশিকুজ্জামান/এসএনআর/জেআইএম