লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুলের জামিন স্থগিতের আবেদন
অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। আগামী রোববার (৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আজ দুপুরে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। আদালতে এদিন লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ফজলুর রহমান ও এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। মঞ্জুরুল আলম পান্নার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন, রমজান আলী শিকদার ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
এর আগে, এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের পর মহানগর দায়রা জজ আদালতেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন নাকচ হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে আসেন। শাহবাগ থানায় হওয়া এ মামলায় ২৯ আগস্ট আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারে গোলটেবিল বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৭০-৮০ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
এফএইচ/একিউএফ