সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং তার স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৬ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর মামলায় টিপু মুনশির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা সন্দেহজনক জমা এবং ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। সবমিলিয়ে ৩২ কোটি টাকার বেশি অর্থ লেনদেনে মানিলন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতাও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে শেখ হাসিনার রায়
মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
অন্য মামলায় আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক জানায়, তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর রিটার্ন, কর নির্ধারণী আদেশসহ সম্পূর্ণ নথি পর্যালোচনা প্রয়োজন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, আয়কর আইন ২০২৩-এর ৩০৯(৩)(ক) ধারায় আদালতের আদেশ ছাড়া কোনো আয়কর নথি প্রকাশ বা জব্দ করা যায় না। তাই আসামিদের পূর্ববর্তী বছর থেকে সর্বশেষ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর নথি জব্দ, সত্যায়িত ফটোকপি সংগ্রহ এবং তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
আদালত কর অঞ্চল-১ এর সংশ্লিষ্ট কর কমিশনার ও কর সার্কেলের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন নথি সরবরাহ করতে। একই সঙ্গে আদেশের কপি দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার নিকট পাঠাতে বলা হয়েছে।
আদালতের এই আদেশের ফলে টিপু মুনশি এবং আইরিন মালবিকা মুনশির সম্পদ ও লেনদেন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারবে তদন্ত সংস্থাটি।
এমডিএএ/কেএসআর/এমএস