মানহানির মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি

জতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে কটূক্তির অভিযোগে মানহানির এক মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস.এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ মাহমুদুর রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, আদিলুর রহমান শুভ্র ও ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বসির উল্লাহ।

এর আগে সুনামগঞ্জের এ মামলায় জামিন নেয়ার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে হাইকোর্টে পৌঁছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে অপেক্ষায় ছিলেন। জামিন পাওয়ার পরে তিনি আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ফিরে গেছেন বলে জানান আইনজীবীরা।

এর আগে রোববার সকালে তার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিন আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন ।

উল্লেখ্য একটি মানহানির মামলায় সুনামগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতের (সদর) বিচারক দেলোয়ার হোসেন গত ২৬ জুলাই মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক কিরণ। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত শেষে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে। পরে আদালত দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখ ছিল; কিন্তু মাহমুদুর রহমান হাজির হননি।

আইনজীবী মো. আবদুল হক জানান, মাহমুদুর রহমান গত ২২ জুলাই একই প্রকৃতির একটি মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। আমরা আদালতে তার চিকিৎসাসংক্রান্ত যাবতীয় কাগজ উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট হাজিরা নিয়ে বিষয়টি মুলতবি রাখার আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

মামালার আর্জিতে বলা হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমের ভূমিকা’শীর্ষক সেমিনারে মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেন।

সেই বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবার সম্পর্কে মিথ্যাচার, কটূক্তি এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে বাংলাদেশকে ভারতের কলোনি বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়। যা রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধের সামিল। পাশাপাশি তার ওই বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে।

এফএইচ/এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।