লকডাউন কার্যকরে সেনা মোতায়েন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
লকডাউন কার্যকর এবং করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জরুরিভিত্তিতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, মহানগরে ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু জনস্বার্থে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু নিজেই নোটিশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় জনস্বার্থে উপযুক্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনার ভয়াল মহামারির হাত থেকে দেশের মানুষের জীবন রক্ষায় সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন সপ্তাহ ধরে দেশে লকডাউন চলছে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, শহরগুলোতে যথাযথভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন না করার প্রবণতা মানুষের চলাফেরায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে দেশে কার্যত লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না এবং করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারও কমছে না।
‘দেশের জনগণকে করোনার মরণ থাবা থেকে রক্ষায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে বাধ্য করতে এবং সবক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমাতে সারাদেশে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো বিকল্প নেই। সেনাবাহিনীই পারে দেশে কার্যকর লকডাউন পালনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে।’
এছাড়া, দেশে দিনের পর দিন যে হারে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে চলেছে এবং যে পরিমাণ করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা হিমশিম খাচ্ছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
‘অতএব উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়রে অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ফিল্ড হসপিটাল তৈরি করে করোনা রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জনস্বার্থে সময়ের দাবি।’
এফএইচ/এসএস/এমএস