বার নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন

থমথমে সুপ্রিম কোর্ট, পাঁচ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৩

বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন এপিবিএনের সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।

নির্বাচনের প্রথম দিনে হট্টগোল-হাতাহাতি ও পুলিশের লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দিনেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনজীবীদের চোখে-মুখেও শঙ্কা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে নির্বাচন হচ্ছে।

তবে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মার্চ) দিনভর হট্টগোল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ, ভাঙচুর, পাল্টাপাল্টি মিছিলের মধ্য দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ অংশের মনোনীত উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ভোট দিলেও বিরত রয়েছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন>> হট্টগোল-হাতাহাতি, দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়ে প্রথম দিনের ভোট শেষ

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার পর থেকে শুরু হওয়া ভোটে দুই হাজার ২১৭ আইনজীবী ভোট দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ কারণে নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু করা যায়নি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন>> সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের বেপরোয়া হামলার শিকার সাংবাদিকরা

সকাল পৌনে ১০টা থেকে ভোটকেন্দ্রে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নেন। তারা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ভোটকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিলনায়তনের ভেতর থেকে পুলিশ বের করে দেয়।

এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর দুপুর ১২টার দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরে একাধিকবার বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সংগঠিত হয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে বিক্ষোভ নিয়ে এগিয়ে যান। তবে পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আরও পড়ুন>> দুঃখ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির

বিকেল ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী। এরপর সাড়ে ৩টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে সমিতির প্রাঙ্গণে থাকা ভোটের প্যান্ডেলের দিকে যান। এরপর একপর্যায়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা স্লোগানসহ পাল্টা মিছিল করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সমিতির ভবনের মিলনায়তনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পুলিশ আবারও তাদের ধাওয়া করে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সমিতির দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। তখন বারের উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বেশ কিছু কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এফএইচ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।