পিরিয়ডের ব্যথা কমায় ডার্ক চকলেট

ছোট বড় প্রায় সবাই চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিছু ক্ষতিকর দিক থাকার কারণে অন্যান্য চকলেট খেতে নিষেধ করা হলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ওজন কমানোর পাশাপাশি ডার্ক চকলেটের রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। ডার্ক চকলেট পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া পিরিয়ড জনিত অন্যান্য অস্বস্তি দূর করতে পারে।
জার্নাল অব ওমেন্স হেলথ -এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ক চকলেট খাওয়া নারীদের মধ্যে পিরিয়ডের ব্যথার তীব্রতা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। মূলত এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফ্ল্যাভনয়েড এই উপকারে ভূমিকা রাখে।
পিরিয়ডের সময়ে বেশিরভাগ অনেকের তলপেটে অসহনীয় যন্ত্রণা হয়। একে ডাক্তারি পরিভাষায় পিরিয়ড ক্র্যাম্প বলা হয়। কখনো কখনো পিরিয়ড ক্র্যাম্প এত তীব্র হয় যে, দৈনন্দিন কাজকর্মে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। ডার্ক চকলেট থাকা ম্যাগনেসিয়াম ক্র্যাম্পিংয়ের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব এবং পিরিয়ডের সাধারণ অস্বস্তিও দূর করে।
শুধু পিরিয়ডকালীন ব্যথা নয়, আরও যেসব কারণে এসময় ডার্ক চকলেট খাওয়া ভালো আসুন জেনে নেওয়া যাক-
মেজাজ ভালো রাখে
পিরিয়ড কেবল শরীরকেই প্রভাবিত করে না, মেজাজও খিটখিটে করে দেয়। ডার্ক চকলেট খেলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। এতে বিরক্তিভাব কেটে যায় এবং মন ফুরফুরে থাকে। ডার্ক চকলেট মানসিক অবসাদ দূর করতেও সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ
ডার্ক চকলেটের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রদাহ হলো পিরিয়ডের ব্যথার একটি প্রধান কারণ। এর পাশাপাশি পিরিয়ড চলাকালীন রক্ত সঞ্চালনও বাড়ায় ডার্ক চকলেট।
ত্বক ভালো রাখে
পিরিয়ডের সময় ত্বকে ব্রণ বা র্যাশ ওঠা খুবই স্বাভাবিক। ডার্ক চকলেটে থাকা মিনারেলস ত্বকের কোষ পুনর্গঠন ও সুস্থতা বজায় রাখে। ফলে ব্রণ বা র্যাশের ঝুঁকি কমায়।
ক্লান্তি কমায়
ডার্ক চকলেটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে, ফলে পিরিয়ডকালীন ক্লান্তি ও দুর্বলতা কমাতে সহায়তা করে। পিরিয়ডের সময় ডার্ক চকলেট খেলে আপনার ক্লান্তি কমাতে এবং আপনি থাকবেন স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত।
প্রতিদিন কতটুকু পরিমাণ চকলেট খাওয়া যাবে?
৭০ শতাংশ চকলেট আছে, এমন ডার্ক চকলেট প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম খেতে পারবেন। অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএকেওয়াই/কেএসকে/জেআইএম