খাঁটি রুপা যাচাই করতে দোকানদারকে এই ১০ প্রশ্ন করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

রুপা মানেই ঝলমলে সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের ছোঁয়া। কিন্তু বাজারে এখন এমন অনেক দোকান আছে, যেখানে ‘খাঁটি’ কথাটা তার অর্থ হারিয়েছে। দেখতে ঝকঝকে, কিন্তু আসলে ভেতরে মিশে থাকে ফাঁকি। তাই রূপা কিনতে গেলে শুধু দাম নয়, জানতে হবে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নও।

নিচে দেওয়া হলো এমন ১০টি প্রশ্ন, যেগুলো করলে সহজেই বুঝবেন দোকানদার সত্যিই আপনাকে রুপার গয়না দিচ্ছে নাকি ‘খাটি রুপা’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে নকল মাল।

১. ভাই, রূপার পিউরিটি কত? ৯২৫, ৯০০ না ৮৫০?
শুধু ‘খাঁটি’ বললে বিশ্বাস করবেন না। রূপার বিশুদ্ধতা বোঝাতে সংখ্যা জরুরি। ৯২৫ মানে ৯২.৫ শতাংশ রূপা, এটাই আন্তর্জাতিক মান। কোনো দোকানদার যদি শুধু ‘খাটি রুপা’ বলে থেমে যায়, বুঝে নেবেন, গল্পে ফাঁক আছে।

খাঁটি রুপা যাচাই করতে দোকানদারকে এই ১০ প্রশ্ন করুন

২. রূপায় স্ট্যাম্প বা মার্ক কোথায়?
খাঁটি রূপায় সাধারণত ৯২৫, ৯০০ বা ৯৯৯ লেখা থাকে। যদি দোকানদার স্ট্যাম্প দেখাতে না পারেন বা কথা ঘুরিয়ে দেন, আপনিও ঘুরে যান অন্য দোকানে।

৩. এই রূপা কোথা থেকে আসে?
ভালো ব্যবসায়ী তার পণ্যের সোর্স বলতে পারবে — যেমন, চট্টগ্রামের গোল্ড ঘাট, নওয়াবপুর সিলভার মার্কেট বা দুবাই সাপ্লাই। কেউ যদি বলে, ‘এইটা আমাদের লোকাল সোর্স’, কিন্তু বিস্তারিত না জানায় — সতর্ক হোন।

খাঁটি রুপা যাচাই করতে দোকানদারকে এই ১০ প্রশ্ন করুন

৪. ওজন ডিজিটাল স্কেলে মাপেন নাকি দাড়িপাল্লায়?
রূপা কিনতে ডিজিটাল স্কেল বাধ্যতামূলক। দাড়িপাল্লা মানেই ফাঁকিবাজি।

৫. ছয় মাস বা এক বছর পর বিক্রি করলে কত শতাংশ কম নিবেন? রশিদে লিখে দিন।
এই প্রশ্নে বোঝা যায় দোকান কতটা সৎ। ভালো সেলার রিটার্ন পলিসি রসিদে লিখে দেয়, ঠকবাজ বলবে ‘রসিদ লাগবেনা। এসে বললেই হবে।’

৬. রূপার রঙ বদলে গেলে কি ক্লিনিং সার্ভিস ফ্রি?
আসল দোকানদার পলিশ বা ক্লিনিং ফ্রি করে দেয়। ফ্রি না হলে সামান্য চার্জ নিয়ে করে দেয়। কিন্তু নকল সেলার পণ্য বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর আর কোনো সার্ভিস দিতে চাইবে না। কারণ দায়িত্ব নিলে ফাঁকি প্রমাণ হয়ে যেতে পারে।

খাঁটি রুপা যাচাই করতে দোকানদারকে এই ১০ প্রশ্ন করুন

৭. চেইন বা আংটির জোড়াগুলোর ঝালাই কি রূপা দিয়ে করা নাকি মিক্সড্ ধাতু?
অনেকে রূপা বিক্রি করে কিন্তু জোড়া দেয় তামা দিয়ে। দোকানদার যদি প্রশ্ন শুনে চোখ নামায়, বুঝে নিন, জোড়া মিক্সড্।

৮. একটু অ্যাসিড টেস্ট দেখাতে পারেন?
মাত্র ১৫ সেকেন্ডের অ্যাসিড টেস্টেই ধাতুর আসল রূপ ধরা পড়ে। তাই সৎ দোকানদার নিজের পণ্যের মান প্রমাণ করতে এই টেস্টে রাজি থাকবেন। কিন্তু যদি দোকানদার বলেন ‘এখন ব্যস্ত’ বা ‘আমাদের সার্টিফিকেট আছে’ — তাহলে বুঝবেন রুপার মানে সমস্যা আছে।

খাঁটি রুপা যাচাই করতে দোকানদারকে এই ১০ প্রশ্ন করুন

৯. আমি কি একটু ভিডিও করে রাখতে পারি?
ওজন, স্ট্যাম্প আর রসিদের ভিডিও করতে চাইলে সৎ দোকানদার কোনো আপত্তি করবেন না। কিন্তু নকল সেলার বলবে, ‘নিয়ম নাই, মালিক রাগ করে।’

১০. ক্যারেট, ওজন, মূল্য ও ফেরত নীতি রসিদে লিখে দিন।
খাঁটি ব্যবসায়ী সব লিখে দেয়। ফাঁকিবাজ শুধু মুখে মুখে বলে। মনে রাখবেন, কাগজে লেখা মানেই প্রমাণ।

এএমপি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।