মেঘবতি বৃষ্টি নামায়
নিশ্চুপ চুপচাপ শূন্যতার স্তর ভরে ওঠে জলে
হেয়ালি ভরা মুখ-ঠোঁট ঘাম আর মুচকি হাসে
কিছুটা অন্যরকম হলেও আজ ফিরে যাবো না ঘরে।
মেঘবতি ও মেঘবতি তোর শরীর ছুঁতে চাই
তোর চুলের সিঁথির ভিতর জোনাকি গুজে দিতে চাই
চাই শূন্য ঘরে মনের বাস্তবিক মাটির চুলোয়
তপ্ত আগুনে একবিন্দু জলরাশি হয়ে উন্মাদ হতে।
মেঘবতি তুই কি আসবি আমার আকাশে
আমার উঠোনে পলাশ রঙে আলতা মাখা পায়ে
ছোপ ছোপ আলপনার অঙ্কনে
আনন্দের টেউ তুলে বসে থাকবি বুকের ঠিক মাঝখানে।
মেঘবতি হঠাৎ আসে
হঠাৎ চলে যায়।
স্রোতের সাদা জলরাশি আর মেঘদল
ভির করে দক্ষিণ উঠোনের কোনে
সময় জড়িয়ে সব ছাড়িয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে
সেই তো আবার এলি
জানি সব ছেড়ে যাবি
আবার ফিরেও আসবি একদিন।
মেঘবতি তুই কি ভীষণ ভালোবাসবি আমায়
তোর শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে অনন্ত পথ পাড়ি দিবো
ঠোঁটের ভিতর ঠোঁট রেখে বৃষ্টি হবো।
কিছুটা অন্যরকম হলে ক্ষতি কি মেঘবতি
মেঘবতি আসে ভীষণভাবে আসে
ভালোবাসে, বৃষ্টি নামায়, বৃষ্টি হয়।
আবার চলেও যায়
অন্য কোন মেঘের দেশে অন্যরকম হতে।
এসইউ