চীনের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অত্যন্ত শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান।

আজ (রোববার) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. খলিলুর রহমান বলেন, এ বছরটি হলো চীনের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর। পাঁচ দশক ধরে চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্রমাগত উন্নয়ন ঘটেছে। তারই একটা পর্যায়ে চীন সরকারের আমন্ত্রণে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ বৈঠক হয়।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানি সম্পদ ও শিল্পায়নের দুটি স্তম্ভ শক্তিশালী করার ব্যাপার চীন সফরে গুরুত্ব পেয়েছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমাদের জীবনযাত্রা পানির ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।

প্রকৃতি ও পরিবেশের যে পরিবর্তন তার কী ধরনের প্রভাব আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনগণের ওপর পড়বে সেই ভাবনা থেকে প্রধান উপদেষ্টা চীনের সঙ্গে দীর্ঘ ও বিস্তৃত আলাপ আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের নদীর পদ্ধতি বিবেচনায় নিয়ে নদীগুলোর পানি কীভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে পারি এ বিষয়ে চীন সহায়তা করতে পারে। এ নিয়ে তাদের বড় বড় প্রকল্প রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা চীনের সহায়তা কামনা করলে চীন সম্মত হয়। প্রধান উপদেষ্টা চীনের পানির সম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে চীনের প্রথিতযশা পানি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের পানির চাহিদা এবং চাহিদা কীভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। চীন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেন। প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে নদীর পানি সংরক্ষণ, বন্যার পূর্বাভাস, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয়ত আগামী দিনগুলোতে যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান শিল্পায়নের উপর নির্ভর করবে। এক্ষেত্রেবাংলাদেশ চীনের শিল্পায়ন নীতি অনুসরণ করে দেশে শিল্পায়ন স্থানান্তরের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাবে। অতীতের চীন যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বের বিনিয়োগ তাদের দেশে এনেছে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে চিনের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হবে। সম্প্রতি চীন সফরে বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা চীনের বিনিয়োগকারীদের কে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট তাতে সম্মত দেন।

/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।