দুই চাকায় নেপালের তিন সার্কিট অভিযান, দেশে ফিরলেন আরিফুর রহমান
নেপালের হিমালয় অঞ্চলের তিনটি ভিন্ন ট্রেকিং রুট অন্নপূর্ণা সার্কিট, মানাসলু সার্কিট এবং এভারেস্ট বেস ক্যাম্প সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশের সাইক্লিস্ট আরিফুর রহমান উজ্জল। প্রায় দুই মাসের এই অভিযান শেষ করে গতকাল রাতে দেশে ফিরেছেন তিনি।
আরিফুর রহমান নেপারের তিনটি স্বতন্ত্র এবং চ্যালেঞ্জিং ট্রেকিং রুট একই সাথে সাইকেল চালিয়ে সম্পন্ন করেছেন। এই সাহসী এবং দুঃসাহসিক যাত্রার সময় তিনি হিমালয় পর্বতমালার কঠিন ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ৮১৯ কিলোমিটারেরও বেশি সাইকেল চালিয়েছিলেন।
সাইকেলে নেপালের ভিন্ন ভিন্ন ট্রেকে অভিযান প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সাইকেল চালিয়ে এভারেস্ট অঞ্চলসহ হিমালয়ের কয়েকটি ট্রেক অতিক্রম করেন তিনি। মধ্যবর্তী বিরতিতে বিশ্রামের জন্য খুব কম সময় নিয়েছেন তিনি। এসব ট্রেকে সাধারণত পর্বতারোহীরা পায়ে হেঁটে যান। উজ্জল গেছেন সাইকেলে।
অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে আরিফুর রহমান বলেন, ‘এই অভিযান ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। কাদামাখা পাথুরে পথ, অতি উচ্চতা, অক্সিজেন স্বল্পতা, ভূমিধস, বরফে ঢাকা পথ, গ্লেসিয়ার ও একদম খাড়া টানা একেকবার ৩-৪ কিলোমিটার রাস্তা। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে রাতে না ঘুমিয়ে পরদিন ট্রেক করতে হয়েছে। বরফ ও রোদের তাপ, জ্বর, হাতে ফ্রস্টবাইট, পায়ে মাসাল ক্র্যাম্প, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে, বাতাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে এক একটা পাস অতিক্রম করতে হয়েছে। অনেক পর্বতারোহীর কাছে এটি স্রেফ পাগলামি। এই অভিযানে কখনো সাইকেলটি চালাতে হয়েছে, কখনো কাঁধে করে বহন করতে হয়েছে, কখনও ঠেলে ওপরের দিকে তুলতে হয়েছে।’
সফলভাবে নেপালের তিন ট্রেকে অভিযান সম্পন্ন করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান। আরিফুর রহমান জানান, নেপাল থেকে দেশে ফেরার আগে দূতাবাসে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানানো হয়।
আরিফুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার এ অভিযানের পৃষ্ঠপোষক ছিল দুরন্ত বাইসাইকেল। সেকারণে তিনি এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘দুরন্ত হিমালয়া এক্সপিডিশন’। ভ্রমণপিপাসু আরিফুর রহমান শুধু একাই নন, প্রায়ই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অভিযানে। কিছুদিন বিশ্রামের পর আবারও নতুন অভিযানের পরিকল্পনা করছেন এই তরুণ।
আরএমডি