পরকীয়ার জেরে লাশ কেটে ২৬ খণ্ড: নিহতের বন্ধু গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবি- সংগৃহীত

পরকীয়ার জের ধরে ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যার পর লাশ কেটে ২৬ খণ্ড করা হয়। এরপর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে দুটি নীল রংয়ের ড্রামে ভরে রেখে যাওয়া হয়। এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা তারই বন্ধু জরেজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (৪৩) তিনদিন আগে বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে দুটি নীল রঙের ড্রাম খুলে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পায়। তখন মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে মরদেহ বের করা হয়। ড্রামের মধ্যে চাল ছিল এবং কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো।

পরে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে খণ্ডিত মরদেহের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন মোছা. আনজিরা বেগম শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি করে এজাহার দায়ের করা হয়।

এজাহারে আনজিরা বেগম লিখেছেন, তার বড় ভাই আশরাফুল হক দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারাদেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি।

এরপর থেকে আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ, আসামি জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় গত ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যে কোনো সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মোট ২৬টি খণ্ডে খণ্ডিত করে গুম করার উদ্দেশ্যে দুটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর ভরে রেখে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

টিটি/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।