চট্টগ্রামে রেললাইনে গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
সাতকানিয়ায় রেললাইনের ওপর গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে/ ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় রেললাইনের ওপর গাছ ফেলে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের কালিয়াপুকুর এলাকায় রেললাইনে গাছ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে রেললাইনের ওপর গাছ পড়ে থাকার খবর পেয়ে দ্রুত তা সরিয়ে নেন রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা। এ ঘটনায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।

রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতকানিয়া রেলস্টেশনের এক কিলোমিটার দক্ষিণে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের ওপর গাছের কিছু ডাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। ভোরে বিষয়টি জানতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। আধা ঘণ্টার মধ্যেই রেলের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত তা রেললাইন থেকে সরিয়ে ফেলেন।

আরও পড়ুন
ময়মনসিংহে মধ্যরাতে কাভার্ডভ্যানে আগুন
এবার ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সৈকত এক্সপ্রেস সাতকানিয়া স্টেশন অতিক্রম করে। এর পর থেকে আজ সকাল ৬টার মধ্যবর্তী কোনো সময়ে দুর্বৃত্তরা রেললাইনে গাছ ফেলে গেছে। ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ সাতকানিয়া অতিক্রম করার কথা ছিল। তবে ট্রেনটি ভোর সাড়ে ৫টার পরিবর্তে সকাল ৭টার দিকে সাতকানিয়া স্টেশন অতিক্রম করে। এর আগেই রেললাইন থেকে গাছ সরিয়ে ফেলায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ জানায়, গভীর রাতে কে বা কারা রেললাইনের উপরে গাছ ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় জনতা ও রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতায় তা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

পুলিশ জানায়, কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাছ ফেলে রেখেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতার প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।

এমআরএএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।