কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৯
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ডাকা মানববন্ধনে অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন— মোহাম্মদ হোসেন মোল্লা (৪০), মোক্তার হোসেন (৪২), সোলায়মান (৪০), মো. আলাউদ্দিন মোল্লা (৪৮), জুয়েল (৩৪), মো. আবুল হোসেন (৩৩), পলাশ (২৫), মো. লাল মিয়া (৪০) ও মো. তাজুল হোসেন (৫১)।
এর আগে কারওয়ানবাজারের ইসলামিয়া শান্তি সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কিচেন মার্কেটের মুদি দোকানি আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।
মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে তেজগাঁও থানা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আবদুর রহমানকে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের করা মামলার প্রেক্ষিতে ৯ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি আবদুর রহমানকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
তিনি বলেন, কোনো ধরনের চাঁদাবাজকে কারওয়ান বাজারে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
জানা গেছে, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধনে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ব্যবসায়ীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলাকারীদের প্রতিহত করেন।
এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার ঘটনায় আবু বকর সিদ্দিকের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিচেন মার্কেটে মুদি দোকান করে আসছেন। অভিযুক্ত আবদুর রহমান ও তার দলবল চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমি দখলকারী ও চাঁদাবাজ। তারা ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন আয়োজন করলে সেখানে হামলা চালান চাঁদাবাজরা।
এজাহারে আরও বলা হয়, সম্প্রতি আবদুর রহমান ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে বলেছেন, কিচেন মার্কেটে ব্যবসা করতে হলে তাকে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। সেখানে উপস্থিত বেলায়েত নামের এক ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ওই সময় আবদুর রহমানের ক্যাডার কারেন্ট জসিম, ফয়সাল ও সাদ্দাম মিলে ব্যবসায়ী বেলায়েতকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে বেলায়েত পিঠে গুরুতর আঘাত পান। তাকে বাঁচাতে গেলে ওমর ফারুক ও জহিরুলসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আহত হন। এরপরই ফুঁসে ওঠে ব্যবসায়ীরা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
টিটি/এমআইএইচএস