বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হচ্ছে কুর্মিটোলায়


প্রকাশিত: ১১:০৪ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর কুর্মিটোলায় একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার বাসসকে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য উন্নতমানের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে ঢাকার কুর্মিটোলায় বিশাল খালি জায়গায় এটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে আলোচনা হচ্ছে।’

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বার্ন ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে একটি অত্যাধুনিক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ খসড়া পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পেশ করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই বছরের মধ্যে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে স্থাপত্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে এটি নির্মাণ করতে তিন বছর সময় লাগবে বলে তারা মত দিয়েছেন। তাই সরকারি অর্থায়নে যত দ্রুত সম্ভব এই ইনস্টিটিউট নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সামন্তলাল সেন আরো বলেন, বিভিন্ন দূর্ঘটনায় প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখের বেশি লোক অগ্নিদগ্ধ হয়। এই অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা ও প্লাস্টিক সার্জারির জন্য দেশে মাত্র ৫২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। অগ্নিদগ্ধ ও অন্যান্য প্লাস্টিক সার্জারির রোগীদের প্রয়োজন মেটাতে এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ১৫০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। একটি অত্যাধুনিক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হলে আমরা দেশেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারবো।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশের প্রথম বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে। এটি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে একশ’ আসনে উন্নীত করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে দেশের বিভাগীয় শহরে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ২৫ থেকে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ঢাকার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মিটফোর্ড হাসপাতাল রয়েছে। সম্প্রতি কুর্মিটোলা ও মুগদা সরকারি হাসপাতালে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট বার্ন ইউনিট খোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ও রাজনৈতিক সহিংসতায় অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার প্রয়োজনে দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে পৃথক বার্ন ইউনিটগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।