২৫ বছর পর উদ্ধার হচ্ছে শনির আখড়া-সানারপাড় খাল

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পর্যন্ত একটি খাল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ খালটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশ লাগোয়া।
ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, এক সময় এই খাল দিয়ে যাত্রাবাড়ী, কুতুবখালী, কাজলা, উত্তর রায়েরবাগ, শেখদী, শনির আখড়া, মাতুয়াইল, গোবিন্দপুর এলাকার বৃষ্টির পানি যেত। কিন্তু দিন দিন খালটি অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় এ এলাকাগুলো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি এখনো রাস্তার ওপর জমে রয়েছে। এখন খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে খালটির নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তর রায়েরবাগ অংশে বড় এক্সাভেটর দিয়ে খালের সীমানায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করছেন শ্রমিকরা। ১০টি বড় বর্জ্যের গাড়ি দিয়ে এই বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। এই বর্জ্যের মধ্যে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ বিভিন্ন আবর্জনা বেশি। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করেছেন ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসসিসির প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, আশির দশকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উঁচু করতে মহাসড়কের উত্তর পাশ থেকে মাটি কাটা হয়েছিল। এতে মহাসড়কের পাশ দিয়ে এই খাল তৈরি হয়। কিন্তু কালের বিবর্তনে খালটি অবৈধভাবে দখল হয়ে যায়। খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। এতে আশপাশের বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ৬ জুন থেকে খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে।
ডিএসসিসির ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে খালটি অবৈধভাবে দখল শুরু হয়। এখন এ এলাকার জলাবদ্ধতার কথা জানতে পেরে খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খাল খননের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তার নির্দেশনার আলোকে এ কার্যক্রম চলছে। খালে পানিপ্রবাহ শুরু হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।
এমএমএ/এএএএইচ/এমএস