করোনা শনাক্ত ১৪ লাখ ছাড়াল
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ছাড়াল। দেশে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৭০৮টি ল্যাবরেটরিতে ৪১ হাজার ৭৫১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪০ হাজার ৬৪১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮ হাজার ৪৬৫ রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৩ জনে।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৩ হাজার ৮১০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৪৫৭ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫২২ জন।
মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৮ ও নারী ৮৯ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৬, বেসরকারি হাসপাতালে ৩২ এবং বাড়িতে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের একজন, দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব সাতজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৩ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪১ জন, আশির্ধ্ব ১৮ জন, নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৩ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী একজন মারা যান।
একই সময়ে করোনায় মৃত ১৯৭ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৭৮ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ৮ জন, খুলনায় ১৮ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ৮ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/জেএইচ/জিকেএস