বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিসিএমএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) খুব দরকার। কারণ মানুষ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যাতে না ঠকে, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এজন্য এই সিস্টেম দরকার। এটা হওয়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির শিকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট যখন আসে তখন অনেকেই বলেছেন এটা হবে না। এখন মানুষ প্রত্যন্ত গ্রামে বসে তার জমিতে কতটুকু সার লাগবে সেটা জানতে পারছে এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে। সত্যিকার অর্থে সারাদেশ বদলে গেছে। আমাদের কৃষিখাত থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক এগিয়ে গেছে। তাকিয়ে থাকার মতো উন্নয়ন হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় এই কাজগুলো করে দিয়েছে বলে আজকে আমরা একটা বড় মাঠ পেয়েছি। কিন্তু এর পেছনে যে পরিশ্রম সেটা আইসিটি মন্ত্রণালয় করেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ৮১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় চাই: বাণিজ্যমন্ত্রী
সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, এক সময় অনেক ঝামেলা গেছে। অনেক অভিযোগ, ফোন, অফিসারদের সঙ্গে মিটিং, রাতে ঘুমাতে পারিনি। এগুলো খুব খারাপ অবস্থা। আর ভালো দিক হচ্ছে এই খাত হঠাৎ করে এগিয়ে গেছে।
টিপু মুনশি বলেন, আমরা গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। বেশ তাড়াতাড়ি ধরে ফেলেছি সব। আজকে তাই সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম খুব দরকার। কারণ মানুষ ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে যাতে না ঠকে। আমরা যেন এখাতে উৎপন্ন সমস্যা সহজেই সমাধান করতে পারি। এজন্য এই সিস্টেম দরকার। এটা হওয়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খুব উপকার হয়েছে। কিছুটা হলেও আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারবো, যে মানুষের যাওয়ার একটা জায়গা আছে, যেখানে তারা সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রটোকল ছাড়াই বেয়াই বাড়ি বেড়িয়ে এলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মূল ইউজার হলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সরকারের সব সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে ই-কমার্স নিয়ে যখন সমস্যা দেখলেন, তখন সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় বেসিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাবসহ সবার সহযোগিতায় ডিজিটাল কর্মাস নীতিমালা করি। তখন ডিজিটাল কর্মাসের সাইজ ছিল ছোট, বর্তমানে ২২ হাজার কোটি টাকা। একটা রাষ্ট্রকে সামনে নিতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক নেতার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত কতোটা গুরুত্ব তার জন্যই আজকে ডিজিটাল নীতিমালা পেলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল হাটে তিন লাখ ৮৬ হাজার পশু কেনাকাটা হয়েছে। দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি ৮-১০ টি অভিযোগ পেয়েছি সেটাও সমাধান হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএসএম সফিকুজ্জামান, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম