জেসমিনের মামলাটি তৈরি করা: আসক

নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সৃজনকৃত বা তৈরি করা বলে দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নুর খান এ দাবি করেন।
নুর খান বলেন, নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব যে মামলা দিয়েছে সেই মামলার এজাহার দেখলে বোঝা যাচ্ছে ঘটনাটি সৃজনকৃত বা তৈরি করা। এ ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশের কোনো কার্যক্রম র্যাবের ওপর বর্তায় না জানিয়ে নুর খান বলেন, জেসমিন ইস্যুতে এখন সরকারের উচিত বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মধ্যদিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা। জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী র্যাব ক্যাম্পে কেন নেওয়া হয়েছিল এবং কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সৈকতকে কী ধরনের বার্তা দিয়েছেন তা খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া শাহেদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তাসহ তাদের সঙ্গে র্যাব যেন কোনোভাবে যোগাযোগ না করে তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া জেসমিনের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন>> র্যাবের হাতে গ্রেফতার নারীর মৃত্যু
আসকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, জেসমিন আটকের সময় তার হাতে সোনার চুড়ি, গলায় সোনার চেইন, কানে দুল ছিল যা জব্দ তালিকায় নেই। এমনকি র্যাব বা কোনো পক্ষ থেকে এগুলো পরিবারকে ফেরতও দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, স্থানীয় থানা থেকে আমরা জেনেছি জেসমিনকে আটকের বিষয়টি থানা অবহিত ছিল না। এমনকি আটকের পরও না। পুলিশের কাছে কোনো মামলাই হয়নি। জেসমিনের তো একটা ঠিকানা ছিল, এভাবে আটকের এখতিয়ার র্যাবের নেই।
এ ইস্যুতে আসকের অনুসন্ধানে কী পাওয়া গেছে জানতে চাইলে নুর খান বলেন, আমাদের অনুসন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন>> সুলতানার সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন নেই
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি বিতর্কিত আইন বলে আপনারা বলে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় আগে আসামি গ্রেফতার করে, এরপর মামলা দেয়। আবার আইনমন্ত্রী বলেছেন, তাদের একটি সেল আছে। মামলা হলে সেই সেল আগে সবকিছু নিরূপণ করে। জেসমিনের ক্ষেত্রে কী তার ব্যত্যয় ঘটেছে- এমন প্রশ্নে নুর খান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানুষকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, এজন্য আমরা মামলাটি বাতিল চেয়েছিলাম। জেসমিনের ঘটনায় যা ঘটেছে তা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল করিব, পরিচালক (কর্মসূচি) নীনা গোস্বামী প্রমুখ।
আরএসএম/ইএ/জেআইএম