দুদকের এনফোর্সমেন্ট: অভিযোগ, অভিযান ও মামলা বেড়েছে

২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে অভিযোগ ও মামলা দায়েরের সংখ্যা বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের। তবে কমেছে ফাঁদ মামলার সংখ্যা। দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২১ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সরাসরি জানাতে দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে কল আসে ৩৯ হাজার ২৬৭টি। এরমধ্যে রেকর্ড করা হয় এক হাজার ১২টি অভিযোগ বা ২ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপর ২০২২ সালে এই কলের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩৯ হাজার ৪৪৮টি। এরমধ্যে রেকর্ড করা হয় এক হাজার ৭৬২টি অভিযোগ বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দুদক টিমকে ঘুসের বিনিময়ে সেবার প্রস্তাব দালাল চক্রের
এছাড়া ২০২২ সালে এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ এসেছে দুই হাজার ৫৫০টি। দুদক টিম অভিযান চালিয়েছে ৪৫৬টি। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে ৯১৩টি। তফসিল বহির্ভূত ৭৩২টি অভিযোগ ছিল।
তবে ২০২১ সালে এসব অভিযোগ ও অভিযানের সংখ্যা ছিল কম। ওই বছর এনফোর্সমেন্ট বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অভিযোগ এসেছিল এক হাজার ৪৫৩টি, আর ২৪৫টি অভিযান চালায় দুদক টিম, বিভিন্ন দপ্তরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেওয়া হয় ৬৮০টি। তফসিল বহির্ভূত ছিল ৪৬৮টি অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ঘুসের অভিযোগে পাসপোর্ট কর্মচারীদের মোবাইল জব্দ করলো দুদক
এদিকে ২০২২ সালে তথ্যানুসন্ধান ৯৬টি, আর ফাঁদ মামলা ছিল একটি। একই বছর প্রতিবেদনের ওপর ৬০০টি সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন, সরাসরি মামলা দায়ের হয় পাঁচটি, অভিযান থেকে অনুসন্ধান হয় ৬৩টি, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণে পত্র দেওয়া হয় ১৪২টি ও অভিযোগ সমাপ্তির ঘটনা ঘটে ৩৯০টি।
এর আগে ২০২১ সালে তথ্যানুসন্ধান ৫৮টি, ফাঁদ মামলা ছিল দুটি। ওই বছর প্রতিবেদনের ওপর ৪৩৮টি সিদ্ধান্ত দেয় কমিশন, সরাসরি মামলা হয় দুটি, অভিযান থেকে অনুসন্ধান হয় ৫১টি, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণে পত্র দেওয়া হয় ৭৩টি এবং পরিসমাপ্তির ঘটনা ঘটে ৩১২ টি।
এসএম/জেডএইচ/এএসএম