উড়ালসড়কের রড পড়ে নিহত শিশু চোর ছিল, দাবি কর্তৃপক্ষের

রাজধানীর মহাখালী এলাকায় নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লোহার রড পড়ে ১২ বছর বয়সী এক শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, নিহত শিশু প্রকল্প থেকে রড চুরি করার ক্ষেত্রে অসাধু শ্রমিক চক্রকে সহায়তা করছিল।
বুধবার (৩১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উড়ালসড়ক থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে শিশু নিহত
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি চুরির ঘটনা। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাতে চাই, ওই পথশিশু প্রকল্প থেকে রড চুরি করার ক্ষেত্রে অসাধু শ্রমিক চক্রকে সহায়তা করছিল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে অসাধু শ্রমিকরা নিচে রড ছুড়ে ফেলছিল। এ সময় একটি রড দুর্ঘটনাবশত শিশুটির মাথায় আঘাত করে। এতে শিশুটি মারাত্মক আহত হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমরা বিশ্বাস করি, সব মানুষের জীবন অমূল্য। তাই পরিস্থিতি নির্বিশেষে এ মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং অত্যন্ত ব্যথিত।’
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জানাতে চাই যে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণাধীন সব সাইটে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব নির্দেশনা মেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্মাণকাজ চলছে। আমরা সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি এবং সবার সুরক্ষা নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। পেশাগত ঝুঁকি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমরা কোনো ধরনের অবহেলা সহ্য করি না।’
আরও পড়ুন: উড়ালসড়ক থেকে রড পড়ে শিশুর মৃত্যু, গ্রেফতার এক
এর আগে এ দুর্ঘটনায় সোমবার রাতে ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেকান্দার আলী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। চুরির অভিযোগটি আমরাও শুনেছি। কিন্তু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না আসল ঘটনা কী। আগামীকাল শুনানি রয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে বলা যাবে কোনো চুরির ঘটনা ছিল কি না। এখন শিশুটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
আরএসএম/কেএসআর/জেআইএম