২০২৬ সালে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

২০২৬ সালের মধ্যে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার বাসাবাড়ির বর্জ্য সম্পদে রূপান্তরিত হবে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর আমিনবাজারে বিদ্যুৎ প্লান্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে ৩০ একর ভূমি প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ভূমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প শেষ করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্প থেকে শুরু হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। কিনে নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

মেয়র বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে হবে। এর ফলে রোধ হবে বায়ুদূষণ। বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা কঠিন ছিল। জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময় সাপেক্ষ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

২০২৬ সালে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু: মেয়র আতিক

বাংলাদেশ ও চীনা সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন প্রকল্পের আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা তখন আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে তাই কিছুটা সময় লেগেছে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এরই মধ্যে সিএমইসির প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। তাদের কিছু যন্ত্রপাতি প্লান্টে চলে এসেছে। আরও যন্ত্রপাতি দ্রুতই পৌঁছাবে। চীনা রাষ্ট্রদূত ও সিএমইসির কর্মকর্তা জানিয়েছেন জানুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে প্লান্টের কার্যক্রম শুরু হবে। মোট চারটি টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু করার বিষয়ে।

সম্প্রতি একনেকে একটি প্রকল্প অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশে এত যে বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে, সে সব বিল্ডিংয়ের বর্জ্যগুলো আমরা কাজে লাগাতে পারি না। আমরা বিল্ডিংয়ের ভাঙারি দিয়ে পাইপ বানাবো। আমরা বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন ব্লক বানাবো বিল্ডিংয়ের ভাঙারি দিয়ে। মেডিকেল ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো প্লান্ট আমাদের নেই। মেডিকেল ওয়েস্ট ও বিভিন্ন ধরনের ই-ওয়েস্ট আমরা সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাজে লাগাবো।

এমএমএ/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।