আগামী বছর প্রতিমাসে নির্ধারণ হবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রতি মাসে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেলের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে ডায়নামিক প্রাইসিং হয় সেভাবেই আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী বছরে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। প্রতি মাসে ইনডেক্সিংয়ের ওপর নির্ভর করে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। প্রতি মাসে পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল এ তিনটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে ডায়নামিক প্রাইসিং হয় সেভাবেই আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে।

সিলেটে তেলের সন্ধান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই হাজার ৫৪০ ও দুই হাজার ৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে আট থেকে দশ বছর এ জায়গাটি টিকে যাবে। যার মূল দাঁড়াবে আট হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘটফুুট হারে উত্তোলন করা হয়, তাহলে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এটিকে সাসটেইন করানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে ১৯৮৬ সালে আমরা তেলের অস্তিত্ব পেয়েছিলাম হরিপুরে। সেটা পাঁচবছর টিকেছিল। কিন্তু সেটির এপিআই গ্র্যাভিটি ছিল ২৭। এবার যে তেলের মজুত পাচ্ছি, যে পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে ২৯ দশমিক সাত। প্রথম দিনের দুই ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উঠেছে। এটিকে আমরা এখন বন্ধ রেখেছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তারপর এটির পুরো মজুত জানতে পারবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী অন্তত ২০ বছর এখান থেকে অনেক সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। আরও চার থেকে পাঁচ মাস পরে পুরো বিষয়টি বলা যাবে। তেলের অংশটি তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) ও সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রে। সুখবর হলো গ্যাস ও তেলের স্তর ভিন্ন ভিন্ন। আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসতো। যেটাকে আমরা কনডেসার হিসেবে ব্যবহার করতাম। এখন তেল আলাদা হয়ে গেছে।

এর আগে ২০১২ কিংবা ২০১৩ সালে তেল পাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এবারের সম্ভাবনাটা কতটুকু স্থায়ী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা জানাতে পারবো, চার-পাঁচমাস পরে। এখন ড্রিল করার সাথে সাথেই তেল উঠছে। যে কারণে আগেই ঘোষণা দিয়েছি। ড্রিল বন্ধ রেখে পরে চালু করার পর আবার একই প্রবাহে তেল উঠছে, এ কারণেই আপনাদের প্রাথমিকভাবে জানালাম। আশা করি, মজুতটা স্থায়ী হবে।

এগুলো কি বাপেক্স কিংবা পেট্রোবাংলার সংস্থাগুলোই তুলতে পারবে, নাকি বাইরে থেকে সহায়তা নিতে হবে, প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা এখানে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ করছে। তারা কাজ করবে, পরে সেই তেলটা পরিশোধন করে ব্যবহার করবো।

নতুন এ তেল-গ্যাসের প্রভাব কী বাজারে পড়বে, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রভাব অবশ্যই পড়বে। আমরা যদি নিজেদের কিছু তেল নিজেরা উত্তোলন করতে পারি, যেভাবে আমরা ড্রিল করছি, প্রায় ৪৬টির মতো ড্রিল শুরু করেছি, পরবর্তীতে আরও ১০০ ড্রিল করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী দুই বছরের মাথায় ৫০০ থেকে ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রতিদিন তুলতে পারবো।

আমরা আশা করছি ২০২৭ সালের দিকে আমরা গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো। আমাদের বছরে ছয় বিলিয়ন টন তেল লাগে বছরে।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।