কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড

অর্ডার বাতিল হলে আর কারখানা চালাতে পারবো না: জেমটেক্স এমডি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনায় কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় চারপাশ

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে জেমটেক্স লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ২ কোটি টাকার পোশাকের লেইচ (অ্যাক্সেসরিজ) ছিল। গতকাল শনিবার অগ্নিকাণ্ডে এগুলো পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জেমটেক্স লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইমরান আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা প্রায় ৪০ কেজি লেইচ (অ্যাক্সেসরিজ) ছিল কার্গো ভিলেজে। আমার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জানিয়েছে, ওই মালামাল পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ৯৯ শতাংশ।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল চারটায় তিনি বলেন, এইমাত্র কথা বললাম, ডিএইচএল- এর (পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান) লোক বলছেন এখনো (কার্গো ভিলেজে) ঢুকতে পারেননি তারা।

তবে তারা বলেছেন, ‘ধরে নেন কিছু নেই। সব পুড়ে গেছে। মালামাল অক্ষত পাওয়ার সম্ভাবনা এখন এক শতাংশও নেই।’

আরও পড়ুন
শাহজালালে আগুনে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শঙ্কা, উদ্বেগ ব্যবসায়ীদের 
পরপর ঘটা অগ্নিকাণ্ডে ‘নাশকতার’ আঁচ 

ইমরান আহমেদ আরও বলেন, দ্রুত প্রয়োজন হওয়ায় এয়ারের মাধ্যমে এই অ্যাক্সেসরিজ আমদানি করেছিলাম। যার মাধ্যমে এক লাখ ৬২ হাজার ডলারের রপ্তানি হওয়ার কথা। সম্ভবত এই রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, এর আগে আমার রপ্তানির ডেট ফেইল করেছি। এ মাসের শেষ পর্যন্ত পণ্য দিতে পারলে বায়ার নিতো।

তিনি বলেন, আমি এখনো বায়ারকে লিখিনি (জানায়নি)। যে সামান্য আশা আছে, সেটাও দেখতে চাই। কিন্তু ফাইনালি কিছু না থাকলে আমি আর শিপমেন্ট করতে পারবো না। খুব অনিশ্চয়তায় ভুগছি।

এ উদ্যোক্তা জানান, এ লেইচ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে বায়াররাই ভারত থেকে দ্রুত পাঠিয়েছিল। এখনো তাদের জানানো হয়নি- সেটা পুড়ে গেছে।

তিনি বলেন, অর্ডার ক্যানসেল হলে পুরোটা লোকসান হবে। এজন্য সুতা ও অন্যান্য অ্যাক্সেসরিজ কেনা হয়েছিল। পণ্য বানানো শেষ। শুধু লেইচ লাগিয়ে রপ্তানি করতাম। অর্ডার ক্যানসেল হলে আমি আর কারখানা চালাতে পারবো না।

এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।