জামায়াত নেতা মা’ছুম

লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের পথ উন্মুক্ত করেছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম/ছবি: সংগৃহীত

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে চালানো হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ধ্বংসের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম।

তিনি বলেন, ‘পল্টন হত্যাযজ্ঞ নিছক কোনো হত্যাকাণ্ড ছিল না। ২৮ অক্টোবরের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ছিল দেশ ও জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ। সেদিন খুনিরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং লাশের ওপর নৃত্য করে দানবীয় উল্লাসে মেতে উঠেছিল। আইয়্যামে জাহেলিয়াতেও এ ধরনের নির্মমতা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের দ্বারাই তা সম্ভব হয়েছিল। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এসব খুনিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।’

ওই হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে সোমবার ( ২৭ অক্টোবর) বিকেলে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত নেতা মা’ছুম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি নিহতদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে এর আয়োজন করে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত।

আরও পড়ুন
২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার হামলায় নিহতদের স্মরণে জামায়াতের কর্মসূচি
লগি-বৈঠা আন্দোলন প্রসঙ্গ আমীর খসরু: কারও কোনো দাবি থাকলে জনগণের কাছে যাওয়া ভালো

এ টি এম মা’ছুম বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী বাকশালীরা দেশে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। সেদিন ছিল চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ পূর্তির দিন। তখন সংবিধান অনুযায়ী একটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মাধ্যমে এর অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতি তুচ্ছ অজুহাতে আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক সে সরকারকে মেনে নিতে রাজি হয়নি, বরং কথিত আন্দোলনের নামে সারাদেশেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। পরে বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সংকট নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক করে কোনো সমাধানে উপনীত হতে পারেননি।’

জামায়াতের এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘এটি ছিল সে সময়ের দেশের বৃহত্তম দুই দলের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। ফলে ২৮ অক্টোবর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটে। তারপর রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু আওয়ামী নৈরাজ্য থেমে থাকেনি। একসময় সরকারের উপদেষ্টারা পদত্যাগ করা শুরু করেন। সে সুযোগেই ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীনরা ১/১১-এর অভ্যুত্থান ঘটাতে সক্ষম হয়। ১/১১-এর কথিত জরুরি সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না, বরং সে সরকার অদ্ভূত প্রকৃতির বেআইনি সরকার। ১/১১ সরকারের কাজই ছিল আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন।’

আরএএস/একিউএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।