ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির
হাশরের ময়দানে দাঁড়িপাল্লা থাকবে, ধানের শীষ-নৌকা-লাঙ্গল থাকবে না
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এস এম শাহরিয়ার কবির বলেছেন, পৃথিবী কেন- আসমান জমিনে কারও শক্তি নেই আমাদের এই মিজান (দাঁড়িপাল্লা) আটকে রাখে। হাশরের ময়দানে এই মিজান থাকবে। ধানের শীষ থাকবে না, নৌকাও থাকবে না, লাঙ্গল থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটা প্রতীক নিয়ে কাজ করি যেটা দুনিয়াতেও থাকবে, আখেরাতেও থাকবে। ক্ষমতার মালিক মালিকুল মুলক (আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম) যদি মনে করেন ক্ষমতা যাবে জামায়াতে ইসলামীর হাতে- তাহলে অবশ্যই ক্ষমতায় যাবে জামায়াত।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার আয়োজস করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম। প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম। অনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গুম ভুক্তভোগী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে পঙ্গুত্ব বরণকারী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন
দলীয় ইশতেহার তৈরিতে অনলাইনে জনগণের পরামর্শ নেবে জামায়াত
১৬ বছরে ছাত্রশিবিরের গুম হয়েছে ২৫৫ জন, এখনো ফেরেনি ৭ জন
সেমিনারে ব্যারিস্টার এ এস এম শাহরিয়ার কবির বলেন, আল্লাহ এমন কোনো ভার আমার ওপর দেবেন না যে ভার বহন করতে পারবো না। যারা বলেন জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে, জনপ্রিয়তা নিভে যাচ্ছে। অনেকে আমাকে বলেন টকশোতে কেন খুব জোরে জোরে, চিল্লায়া কথা বলি, রাগ করে কথা বলি। ১৭ বছর মিথ্যা শুনতে শুনতে কান দুটি ধাপা পড়ে গেছে। যাদের কান খোলা ছিল তারা ছিলেন আয়নাঘরে।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগের ভোট বলে কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমতা দেন।
সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, আমরা কি ২০২৪ সালে জানতাম শেখ হাসিনা এভাবে পালায়া যাবেন? অথচ গত ১৫ বছর জামায়াত-বিএনপি সবাই আন্দোলন করেছি, একটা বালির ট্রাক পর্যন্ত সরাতে পারিনি। আর আল্লাহর ইচ্ছায় আল্লাহ এমন মাঠ তৈরি করে দিলেন যে পৃথিবীর ইতিহাসে সব সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, মসজিদের খতিব পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
এই দেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েমের জন্য আর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কেউ বিকল্প না পান তাহলে আপনাকে এটাকে গ্রহণ করতে হবে। যারা আমাদের সমালোচনা করেন তাদের কাছেও আমার আহ্বান, বিকল্প থাকলে আপনি তৈরি করে ইসলাম কায়েম করেন। যদি মনে হয় জামায়াতে ইসলামী ভালো তাহলে জামায়াতে ভোট দান করেন। কারণ আপনার ওপর এটা ফরজে কেফায়া, ইসলাম কায়েম করা।
শিবিরের বিরুদ্ধে বট বাহিনী বলে সমালোচনার জবাবে ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইসলাম ছিল না বলেই বাংলাদেশের কোনো সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে পারেনি। আর ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে একটা মেয়ে রাত ১২টা হোক ১টা হোক যখন যাবে আমাদের কোনো বোনের দিকে কেউ ফিরেও তাকাবে না। এই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক ভারত তা চায় না।
আরএএস/কেএসআর