মহাসড়কে বেড়েছে যানজট : যাত্রীদের দুর্ভোগ


প্রকাশিত: ০৬:৫৭ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৫

ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের এই বাড়ি ফেরায় প্রতি বছরের মতো এবারো ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যানটজসহ নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

জানা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ নছিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের অবাধ চলাচলের কারণে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বাসের সাধারণ যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এছাড়া মহাসড়কে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা সমস্যা পড়তে হয় যাত্রীদের। তবে এবারের ঈদে মহাসড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কয়েকটি অংশে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঈদের পরও মোবাইল টিম মাঠে থাকবে বলে জানা গেছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও ইভটিজিং ঠেকাতে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সরাইল বিশ্বরোড মোড়, শাহবাজারপুর ও চান্দুরাসহ অন্তত ১০টি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। প্রতি দিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

অন্যদিকে মহাসড়কে অবৈধ নছিমন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অংশে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে মহাসড়কের এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না করলে ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক পরিবহন সিমিতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হাজী মো. মমিন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের কারণে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে যদি মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জাগো নিউজক জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন সে লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে বলে জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।