প্রিয় অফিসে উড়ল শোকের পতাকা, আর আসবেন না এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৯

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে অফিসকে অত্যন্ত বেশি ভালোবাসতেন, প্রতি সপ্তাহেই আসা-যাওয়া করতেন; অসুস্থ শরীর নিয়েও যেখানে ছুটে এসেছেন। বনানীর সেই পার্টি অফিসে আর পা পড়বে না তার।

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে রোববার সকাল ৮টার দিকে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই শোক ছুঁয়ে গেছে এরশাদের প্রিয় পার্টি অফিস।

ershad

পার্টির চেয়ারম্যানের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বনানীর পার্টি অফিসের গেটের এক পাশে টাঙানো হয় শোকের প্রতীক কালো পতাকা। গেটের অপর পাশে টাঙানো হয়েছে দলীয় পতাকা।

এরশাদের উপস্থিতিতে এই পার্টি অফিস সবসময় আনন্দমুখর থাকত। এমনটাই জানিয়েছেন পার্টি অফিসের কর্মী ও দলের নেতাকর্মীরা। এই অফিসে এরশাদ আর ফিরবেন না। এমনকি মরদেহও আনা হবে না। এমন সংবাদে মর্মাহত হয়েছেন পার্টি অফিসের কর্মীরা।

ershad

অফিসটির এক কর্মী বলেন, স্যার এই অফিসকে খুব ভালোবাসতেন। স্যার যখন আসতেন সব নেতাকর্মীই এখানে ছুটে আসতেন স্যারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হতো। এখন শুনছি স্যারের মরদেহ এখানে আনা হবে না। এটা খুবই দুঃখজনক। একবারের জন্য হলেও স্যারকে এই অফিসে আনা উচিত ছিল।

দীর্ঘদিন ধরে পার্টি অফিসটিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করা শাহানাজ বলেন, অসুস্থ হওয়ার আগে স্যার নিয়মিত এই পার্টি অফিসে আসতেন। বিদেশে বা অন্য কোনো মিটিং না থাকলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার তিনি পার্টি অফিস আসতেন। স্যার এই অফিসকে খুব ভালোবাসতেন।

ershad

তিনি বলেন, স্যার শেষ এ পার্টি অফিসে এসেছেন গত রোজার ঈদের দিন। নামাজ পড়ে পার্টি অফিসে এসে বেলা ১১টার দিকে তিনি পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে যান। অন্যান্য বছর স্যার পার্টি অফিসে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থাকতেন। কিন্তু এবার একটু আগেই বের হয়ে গিয়েছিলেন। ওই যাওয়াই যে স্যারের শেষ যাওয়া হবে আমরা কেউ বুঝতে পারেনি। স্যারকে এই অফিসে আর দেখতে পাব না, এ কথা ভাবতেই হৃদয়ের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে।

ershad

এরশাদের মৃত্যুর সংবাদ শুনে পুরান ঢাকা থেকে বনানীর পার্টি অফিসে ছুটে আসা জাতীয় পার্টির কর্মী রইসুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা জাতীয় পার্টি করতেন। বাবার মুখে এরশাদ স্যারের অনেক সুনাম শুনেছি। এতেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমিও জাতীয় পার্টিতে রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছি।

তিনি বলেন, আগে দেখেছি এরশাদ স্যার যখন পার্টি অফিস আসতেন তখন নেতাকর্মীদের ভিড়ে অফিস আনন্দমুখর হয়ে উঠত। আমার ধারণা ছিল আজ স্যারকে এই অফিসে আনা হবে। তাই সকালেই ছুটে এসেছি। কিন্তু এখন শুনছি মরদেহ এই অফিসে আনা হবে না, নেয়া হবে কাকরাইলের অফিসে। অথচ কাকরাইলের অফিস থেকে স্যার এই অফিসে অনেক বেশি ভালোবাসতেন।

এমএএস/বিএ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।