পল্লীনিবাস দেখে যেতে পারলেন না এরশাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৯:২৭ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯

প্রকৃতির নিয়মে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লীনিবাসের বহুতল ভবনের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এলেও জীবদ্দশায় তা দেখে যেতে পারলেন না তিনি। অথচ নিজের রুচি ও পরিকল্পনা মতো বহুতল নতুন ভবন করেছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

এরশাদের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের বড় একটি অংশ জুড়েই রয়েছে এই পল্লীনিবাস। রংপুরে এলেই তিনি এখানে থাকতেন। এছাড়া এই বাসভবনের নবনির্মিত কমপ্লেক্সে নিজের সমাধির বিষয়ে ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন জাপা চেয়ারম্যান। তাই রংপুরের মানুষের দাবি সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে পল্লীনিবাসেই দাফন করা হোক।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন জানান, রংপুরের দর্শনা এলাকায় অবস্থিত এরশাদের ব্যক্তিগত আবাস পল্লীনিবাস। এটি সংস্কার করে তিনতলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতোদিন বাউন্ডারির মধ্যে আলাদা আলাদা ভবন ছিল। এরশাদ থাকতেন দ্বিতল ভবনে। আর অন্য স্টাফদের জন্য ছিল একতলা ভবন। পুরনো ভবন ভেঙে এখন তিনতলা কমপ্লেক্স করা হচ্ছে। দ্বিতীয় তলায় এরশাদ ও ছেলে এরিকের কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। ভবনটির দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ, তৃতীয় তলার ফিনিশিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি জানান, গত ২৮ জুন রংপুরে আসার কথা ছিল এরশাদের। সফরে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। বাড়ির নির্মাণ কাজ দেখতেই এবং নির্মাণাধীন বাড়িতে এবার ওঠার কথা ছিল তার। দুই রাত অবস্থান শেষে ৩০ জুন তার ঢাকায় ফেরার সূচিও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এরশাদ রংপুরে আসতে পারেননি। অন্তত বাড়িটি দেখার জন্য হেলিকপ্টারে করেও তার আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটাও আর সম্ভব হয়ে উঠলো না। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ রংপুর সফরে এসেছিলেন এরশাদ।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণসহ লিভার জটিলতায় ভুগছিলেন।

আরএআর/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।