কামাল-তারেকের ষড়যন্ত্র চুরমার করে জাতি এগিয়ে যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২১
ফাইল ছবি

দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন ড. কামাল হোসেন সাহেব-বার্গম্যান-তারেক রহমানরা দেশের মানুষের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেয়ার পথে যেকোনো প্রতিবন্ধকতাকে ভেঙে চুরমার করে বাঙালি জাতিকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এক জরুরি বৈঠক শেষে নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ছাত্রলীগের করোনাকালীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। তিনি সত্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সময় দেশে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সময়, বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর উদাহরণ তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগকে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

করোনাকালে ছাত্রলীগের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন এই করোনাকালে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহা সমাগত। ঈদুল আজহার জন্য লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তাই ঈদের সময়ও মানুষ যাতে সচেতন থাকে এবং মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগকে পরামর্শ দেন।

৭৫ পরবর্তীতে ড. কামাল হোসেনের ভূমিকার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন আমাদের আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান এবং খুনী মোশতাক-জিয়ারা যখন দেশে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তখন তাদের (বঙ্গবন্ধুসহ) রক্তের ওপর, সেই মুহূর্তে ড. কামাল হোসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি এই ঘটনার নিন্দাও জানাননি কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর মতো সৎ সাহস তার ছিল না।

আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতে যেভাবে আমাদের মুগ্ধ করেছে, আমরা প্রত্যাশা করি সমানের দিনগুলোতেও তারা মানবিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম বলেন, এই কঠিন সময়ে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতাকে সামনে রেখে বিশেষ করে বন্যা শুরু হচ্ছে, এ সময় ছাত্রলীগকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগ যেভাবে কাজ করেছে, লকডাউন যখন শিথিল হচ্ছে তখনও ছাত্রলীগ যাতে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষকে সচেতন করে, মানুষকে যাতে ক্ষুধার কষ্ট পেতে না হয় সেজন্য দুস্থ মানুষকে সহযোগিতা করবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সারাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে সচেতন করবে, সহযোগিতা করবে।

বৈঠকে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়াও অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।

এআরএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।