উইকেটের কল্যাণে নয়, যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ: ফাহিম
পাকিস্তানের প্রধান কোচ মাইক হেসন একা নন, সমালোচকরা বলছেন যে, বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতেনি। অনুকুল উইকেটে খেলে জিতেছে। যে উইকেটে খেলা হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের মত করে তৈরি। ওই উইকেটে বাংলাদেশ খুব ভাল খেলতে পারে।
পাকিস্তান কেন, তার চেয়ে শক্তিশালী আরও বড় কোনো দলও এ ধরনের উইকেটে এসে খাবি খায়। পারে না। এবার আগা সালমানের দলও পারেনি। তাই শেরে বাংলায় উইকেটই বাংলাদেশের প্রধান শক্তি।
অভিযোগটি কি সত্যি? আপনি কি সমালোচকদের অমন বক্তব্যর সাথে একমত? বিসিবি পরিচালক ও দেশের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেট কোচ, অ্যানালিস্ট, এক্সপার্ট নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছে এ প্রশ্ন রাখা হলে তিনি সে সব সমালোচকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন।
বলেন, ‘যারা এমন বলছেন, তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে। তাহলো, আমরা কি এ উইকেটে খুব ভাল খেলেছি। ব্যাপারটা কি এমন যে, শেরে বাংলার উইকেটে পাকিস্তানীরা দাঁড়াতেই পারছে না। আর আমাদের ক্রিকেটাররা ইচ্ছেমত পারফর্ম করছেন?’
‘এমনতো নয় বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটে রানবন্যা। চার-ছক্কার ফলগুধারা আর পাকিস্তানীরা রান খরায় ভুগে অসহায় আত্মসমর্পন করেছেন। ব্যাপারটি কি আসলে তাই? যদি তাই হতো, তাহলে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে কেন বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো? এরপর জাকের আলী অনিক আর শেখ মেহেদীর হাত ধরে উঠে দাঁড়িয়েছিল। আবার বোলিংয়ে দুর্দান্ত সুচনার পর কেনইবা ছন্দপতন ঘটলো? শেষ দিকে কেনই বা হারতে বসেছিল? অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে শেষ পর্যন্ত জিততে হলো!’
‘কেউ কি বলবেন, মঙ্গলবার পুরো ম্যাচে আমরা কি খুব ভাল খেলেছি? আমরা কি খুব ভাল অবস্থায় ছিলাম? মোটেই ভাল অবস্থায় ছিলাম না। তারপরও আমরা প্রতিকূলতা জয় করতে শিখেছি। প্রতিকূল অবস্থায় কিভাবে ম্যাচে ফিরতে হয়, জিততে হয়- তা করতে শিখেছি।’
বাংলাদেশের জয় নিয়ে ফাহিমের মূল্যায়ন, ‘আমার মনে হয় আমরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পেরেছি। নিজেদের ‘ক্যারেক্টার’ শো করা শিখেছি। যখন ঘুরে দাঁড়াতে হয়, ঠিক তখন ব্যাট ও বল হাতে জ্বলে উঠে ম্যাচে ফেরার অভ্যাস তৈরি হয়েছে। একটা খেলায় ওঠা নামার পালা থাকবে। ওই উত্থান-পতনের পালায় ভড়কে না গিয়ে সামনে আগাতে শিখেছি। আমার মনে হয়, এ সিরিজে সেটাই আমাদের দল দেখিয়েছে। দে হ্যাভ শোন ক্যারেক্টার। কাজেই উইকেটের কথা বলে তাদের সাফল্যটাকে ছোট করার কোন মানে হয় না।’
এআরবি/আইএইচএস