বর্তমান প্রজন্ম বেলালকে ব্যাটিংয়ে ছয় নম্বরে দেখতে ভালোবাসতো: লিপু
বর্তমান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সদ্য প্রয়াত জাতীয় ক্রিকেটার মীর বেলায়েত হোসেন বেলালের মৃত্যুতে খুবই শোকাচ্ছন্ন। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমান বেলাল।
বেলালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাতীয় দল ও আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক লিপু বলেন, ‘আমি আবাহনীতে যোগ দেই ১৯৮১ সালে। আমার আগেই বেলাল ভাই আবাহনীতে নাম লিখিয়েছেন। তার সাথে আমার আছে অনেক স্মৃতি। তার স্ট্রোক খেলার অসামান্য দক্ষতা, ফিটনেস, ব্যাটিং আর হার্ড হিটিং দক্ষতা চোখে ভাসে। সত্যিই অবিশ্বাস্য। এখন কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না বেলাল ভাই কত দুর্দান্ত ব্যাটার ছিলেন। মারতে পারতেন কতটা জোরে।’
সে সময় প্রেক্ষাপটে বেলাল কতটা ভালো ছিলেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিপু বলেন, ‘এখনকার মতো ভালো উইকেটে নয়, তখন খেলা হতো লো-বাউন্সি পিচে। পেস বোলারদের বল এখনকার মতো ‘ক্যারি’ করতো না। উইকেটের পিছনে ক্যাচ ধরতে হতো লো ডাইভিং ক্যাচ। বেলাল ভাই ছিলেন ভারি শরীরের অধিকারী। অথচ এমন ভারি শরীর নিয়েও কখনো ডানে আবার কোনো সময় বাঁয়ে শরীর ফেলে সব ক্যাচ অবলীলায় ধরে ফেলতেন।’
জাতীয় দলের বর্তমান নির্বাচক লিপুর উপলব্ধি ও অনুভব, ‘বেলালের মতো বিগ ও হার্ড হিটার এখন একজনও নেই বাংলাদেশে। এ তথ্য দিয়ে জাগো নিউজকে লিপু বলেন, ত্যাগী ও অসাধারণ ব্যাটার। আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলে অনায়াসে জায়গা পেতেন বেলাল ভাই। এখনকার বাংলাদেশ তাকে লাইনআপের ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে দেখতে ভালোবাসতো।’
‘আমার মনে হয় টোয়েন্টিতে ছয় নম্বরে তার (বেলাল) মতো বিগ ও হার্ড হিটার কেউ নেই। এখনো আমাদের দলে এটাই সংকট। ওই ক্যালিবারের কেউ এখনো নেই। এমন সুন্দর উইকেটে বেলাল ভাই জাতীয় দলের সম্পদ হতে পারতেন।’
এখনকার ক্রিকেটাররা যে দামি ও উন্নত মানের ব্যাট দিয়ে খেলেন, ‘বেলাল ভাই এমন ভালো মানের ব্যাট পেলে কী করতেন আল্লাহই জানেন। ওই সময় পেস সহায়ক উইকেটে বেলাল ভাই যে বিগ হিটগুলো নিতেন, না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমি নেটে তার ব্যাটিং দেখতাম। যে টাইমিং ছিল, তার ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসা শটগুলোকে তোপের মত মনে হতো।’
এআরবি/এমএইচ/জিকেএস