‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ভালো খেললে ডাক পেতে পারেন কারা?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩২ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২৫

সেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু। তারপর পাকিস্তানের সাথে পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ, শ্রীলঙ্কা সফর এবং সবশেষে আবার দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা। সব মিলে টানা ধকলের মধ্য দিয়ে গেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

২৪ জুলাই শেরে বাংলায় শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার পর অবশেষে কিছু দিন বিশ্রাম পেয়েছে টাইগাররা। ধারণা করা হচ্ছে, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মাঠের বাইরেই কাটবে লিটন, তানজিদ, ইমন, হৃদয়, জাকের, তাসকিন ও মোস্তাফিজদের। তারপর আবার অনুশীলনে নামবেন তারা।

ক্রিকেট অনুরাগীদের কৌতুহলী প্রশ্ন, কবে শুরু এশিয়া কাপের প্রস্তুতি? আজ ৩০ জুলাই পর্যন্ত দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এশিয়া কাপের প্রস্তুতিপর্বের দিন চূড়ান্ত করবেন হেড কোচ ফিল সিমন্স এবং সেটা তিনিই ক্রিকেট অপারেশন্সকে জানাবেন।

সিমন্সের কাছ থেকে প্র্যাকটিস শুরুর তারিখ জানার পর ক্রিকেট অপারেশন্স আবার গ্রাউন্ডস কমিটিকে জানাবে কোথায় হবে প্র্যাকটিস।

সঠিক তারিখ জানা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের কথাবার্তায় বোঝা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের ৭-৮ তারিখ নাগাদ টাইগারদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু হবে। তার আগে হয়তো পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড আর মনোবিদ ডেভিড স্কট চলে আসবেন।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, এশিয়া কাপের আগে যে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে, তাতে কি এশিয়া কাপ স্কোয়াডই অংশ নেবে? মানে একবারে ১৫-১৬ জনের দল দেয়া হবে, নাকি আরও একটি বড় দল ঘোষণা করা হবে?

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি জাগো নিউজকে জানান, ‘আসলে প্রাথমিক দল কতজনের হবে, সেটা নির্ভর করছে কোচের ওপর। তিনি যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই হবে। তবে ধরেই নেয়া যায়, কিছু বাড়তি প্লেয়ারতো অবশ্যই ডাক পাবে।’

প্রধান নির্বাচকের ওই মন্তব্যেই পরিষ্কার, গত ২-৩ সিরিজে যাদের দেখা হয়েছে বা যারা খেলেছেন; তাদের বাইরে আরও কয়েকজনকে পরখ করে নেয়ার চিন্তাভাবনাও চলছে।

বাকিদের পরখ করে না নেয়া ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ দলে কিছু অপশন বাড়ানোর তাগিদ আছে। ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ ইমনের সাথে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে দেখা হলো নাইম শেখকে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলে নাইম কিছুই করতে পারেননি।

এখন আর একজন বাড়তি ওপেনারের খোঁজ করতে হবে। একইভাবে মিডল অর্ডারেও জাকের আলী অনিক আর শামীম পাটোয়ারীর সঙ্গে বাড়তি পারফরমার নেই। সেখানেও দরকার। সেই বিকল্প হতে পারেন নুরুল হাসান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও সাইফ হাসানের কেউ।

পাশাপাশি শেখ মেহেদীর বিকল্প হিসেবে স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ‘ট্রাই’ করানো হয়েছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে মিরাজ কতটা কার্যকর হবেন, সেই প্রশ্ন তার পারফরম্যান্সে। এখন অন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় কিনা, বাড়তি পেসার হিসেবেও আর কাউকে যাচাই করা হবে কিনা; সেটাও দেখার।

আগামী ৭ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ায় একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওপরে যাদের কথা বলা হলো তারা অনিবার্যভাবেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ হবে ২৪ আগস্ট। তারপরও এশিয়া কাপের আগে হাতে সময় থাকবে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা এশিয়া কাপের প্রাথমিক অনুশীলনে ডাক পাবেন, তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেও অনুশীলন করতে পারবেন।

এআরবি/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।