পূর্ণ মেয়াদে সৌরভকে সভাপতি রাখতে কোর্টে আবেদন করবেন সেই আদিত্য

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২০

সুপ্রিম কোর্ট গঠিত লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুসারে আইনে পরিণত হয়েছে নিয়মটা। একজন ক্রিকেট প্রশাসককে ৬ বছর কাজ করার পর অবশ্যই তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে। অর্থ্যাৎ এই তিন বছর সাময়িকভাবে বাধ্যতামূলক অবসরে থাকতে হবে একজন ক্রিকেট প্রশাসককে।

গত বছর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরই জানা গিয়েছিল, সৌরভ গাঙ্গুলির মেয়াদ কেবল এক বছর। তিন বছরের পূর্ণ মেয়াদ তিনি পালন করতে পারবেন না। কারণ, এক বছর পরই তাকে কুলিং অফে যেতে হবে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সচিব এবং সভাপতি হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বিসিসিআইতে ১ বছর। ৬ বছর হয়ে যাওয়ায় এবার তাকে কুলিং অফে যেতেই হবে।

এমন পরিস্থিতিতে সৌরভ যাতে বিসিসিআইতে পূর্ণ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে কারণে কোর্টের কছে আবেদন করবেন এমন এক ব্যক্তি, যার আবেদনেই গঠিত হয়েছিল লোধা কমিশন।

২০১৩ সালের আইপিএল স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে কোর্টে মামলা করেছিলেন আদিত্য বর্মা। সেই তিনিই এবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করবেন, বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির কুলিং অফ মার্জনা করার জন্য।

গত বছর অক্টোবরে তিনি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন; কিন্তু লোধা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা অথবা বোর্ডের পদাধিকারী হিসেবে টানা ছয় বছর কাজ করার পরে জুলাইয়ে তিন বছরের কুলিং অফে যেতে হবে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও সৌরভ জানতেন তার মেয়াদ মাত্র দশ মাস বাকি।

বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহকেও একই নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছেন পাঁচ বছর। এবার বিসিসিআইর সেক্রেটারি হিসেবে এক বছরের বেশি মেয়াদ নেই। তাই আদিত্য বর্মা বলছিলেন, ‘আমার আগের আবেদন অন্য মাত্রা পেয়েছিল। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুপ্রিম কোর্টকে আবেদন করব সৌরভ ও তার দল যেন তিন বছরের মেয়াদ শেষ করার সুযোগ পায়। তাদের যেন কুলিং অফে যেতে না হয়।’

কিন্তু কেন এই আবেদন করবেন স্পট ফিক্সিং আবেদনকারীর নায়ক? বর্মার উত্তর, ‘সৌরভের মতো একজন যদি তার মেয়াদ শেষ করার সুযোগ না পায়, তা হলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার যুক্তি কী? ভারতীয় বোর্ড যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সেটাই চাই।’

বর্মার আরও ব্যাখ্যা, ‘এতদিন বোর্ড অনুমোদিত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ) ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারেনি। নতুন কেউ দায়িত্ব এলে তার তো পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। সৌরভ ও তার দলকে সেই সময় তো দেওয়াই উচিত।’ যোগ করেন, ‘বর্তমানে করোনা আতঙ্কে আরও দু’মাস কাজ বন্ধ রাখতে হবে। তাহলে সৌরভরা কাজ করার সময় কখন পেল?’

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।