ভারতজুড়ে আর্থিক সংকটে হঠাৎ নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন ধোনি
করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে এখনও লকডাউনে আটকা পুরো ভারত। দেশটিতে দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও করোনা ভারতে পিকে পৌঁছায়নি। আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।
এরই মধ্যে, লকডাউনের জেরে কাজ-কর্ম হারিয়ে পথে বসেছেন ভারতের কোটি কোটি মানুষ। দরিদ্র মানুষ তো না খেয়েই জীবন শেষ করে দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে আগেও এসে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতের সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। এখনও দাঁড়াচ্ছেন।
তবে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি যেটা করলেন এবার, সেটা সত্যিই প্রসংশনীয় এক উদ্যোগ। ধোনি বলেই হয়তো সম্ভব এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেয়া।
করোনা লকডাউনের সময় কোনোরকম ব্যবসায়িক এনডোর্সমেন্ট নয়। অর্থ্যাৎ এই সময়ে কোনো বিজ্ঞাপনই করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শোনা গেছে, অনেকগুলো ব্র্যান্ড তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে; কিন্তু ধোনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তার পক্ষে কোনো কিছু প্রমোট করা সম্ভব নয়।
ধোনি মনে করছেন, দেশজুড়ে যখন আর্থিক সংকট,, তখন কোনোরকম বিজ্ঞাপনের কাজ করলে একটা ভুল বার্তা যাবে। তাই তিনি ঠিক করেছেন, গোটা ভারত যখন এ রকম একটা ক্রাইসিস পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন কোনোরকম ব্যবসায়িক এনডোর্সমেন্ট করবেন না।
ধোনির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু ভারতীয় মিডিয়াকে বলেন, ‘অনেক ব্র্যান্ড রয়েছে। ওদের বিভিন্ন রকমের চাহিদা রয়েছে। ধোনি অবশ্য সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই সময় কোনও কিছুই করবে না। কোনোরকম এনডোর্সমেন্ট নয় এখন।’
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শচিন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলিরা যখন করোনা ত্রাণে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিচ্ছেন, তখন নীরবই ছিলেন ধোনি। বড় কোনও চটকদারি ঘোষণা তিনি দেননি। অথচ, এনডোর্সমেন্ট বন্ধ করায় সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হলো তারই। ধোনির ওই বন্ধু বলছিলেন, ‘আসলে ধোনি এসব সমালোচনা নিয়ে ভাবেই না। কাউকে কোনো সাহায্য করলে সেটা আর কাউকে জানতেও দেয় না। আমরাও জানতে পারি না। এটাই ধোনি’- বলছেন তার বন্ধু।
আইএইচএস/