‘কোহলি নয় বলেই বাবরকে নিয়ে মাতামাতি নেই’

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে পঞ্চাশের বেশি গড় নিয়ে খেলা একমাত্র ব্যাটসম্যান ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তার চেয়ে খুব পিছিয়ে নেই পাকিস্তানের রঙিন পোশাকের অধিনায়ক বাবর আজম। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তার গড় পঞ্চাশের বেশি, টেস্টে ৪৫.১২!

গত দুই বছরে টেস্টে প্রায় ৬৫ গড়ে রান করেছেন বাবর। যা ধারাবাহিক থাকলে অতিশীঘ্রই সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও পঞ্চাশের বেশি গড় করে কোহলির সমানে বসবেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসাইনের মতে বাবর এরই মধ্যে কোহলিদের পাশে বসার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন।

বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের খেলা শেষে ৬৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন বাবর। তার ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাসের হুসাইন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন মনের ক্ষোভও। তার মতে, বাবর আজমকে নিয়ে মাতামাতি না হওয়ার কারণ তিনি বিরাট কোহলি নন।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফ্যাভ ফোর হিসেবে ধরা হয় অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, ভারতের বিরাট কোহলি এবং ইংল্যান্ডের জো রুট। নাসেরের মতে এটিকে এখন ফ্যাভ ফাইভ বানিয়ে সেখানে বাবরকে জায়গা দেয়ার সময় হয়ে গেছে।

স্কাই স্পোর্টসের এক বিশ্লেষণী অনুষ্ঠানে নাসের বলেছেন, ‘এই ছেলেটা (বাবর) যদি বিরাট কোহলি হতো, তাহলে সবাই এখন তার ব্যাপারে কথা বলত। কিন্তু সে বাবর আজম হওয়ায় তার ব্যাপারে কেউ কথা বলছে না। সে তরুণ, দর্শনীয় ব্যাটিং এবং দাপুটে খেলতে পারে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা শুধুমাত্র ফ্যাভ ফোরের কথাই বলে। এখন এটি ফ্যাভ ফাইভ এবং এতে বাবর আজমও আছে। আমি মনে করি সেও সেরার তালিকায় চলে এসেছে এরই মধ্যে। সে রানের জন্য ক্ষুধার্ত। আমি মনে করি সে লম্বা সময় ধরে খেলাটিতে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।’

‘গত কয়েক বছরে টেস্ট ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স অনেক উন্নতি ঘটেছে। শুরুতে সে সাদা বলের ক্রিকেটে ভালো খেলত। সবাই ভাবতে শুরু করলো সে হয়তো রঙিন পোশাক্রে ক্রিকেটার। কিন্তু সে এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে এবং এখন দারুণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে।’

এসএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।