আর ১৫ মিনিট ব্যাট করতে পারলেই টেস্ট বাঁচাতে পারতো বাংলাদেশ

টানা ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারলেও আজ শেষ দিনে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম আর সাকিব আল হাসানের হাত ধরে ম্যাচ বাঁচানোর জোর সম্ভাবনা জেগেছিল।
খুব বেশিক্ষণ না, দিনের আর মাত্র ২৪ মিনিট খেলা বাকি ছিল। এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ ওভার হয়তো খেলা হতো। এ সময়টুকুও পুরো খেলার দরকার ছিল না।
বাংলাদেশ দল যদি আর ৪ ওভার খেলে ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে অন্তত ১৫-২০ রানে লিড নিতে পারতো, তখনো হয়তো খেলা ড্র হবার সম্ভাবনা থাকতো। কারণ পাস্তিানীদের পাল্টা ব্যাটিংয়ে নামতে হতো প্রথা মেনে ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে।
ততক্ষণে আলো যেত কমে। অর্থ্যাৎ মাঠে খেলা চালানোর জন্য যে পরিমাণ আলো দরকার, দুই অম্পাার মাইকেল গফ আর শরফুদৌলা ইবনে শহীদ সৈকতরা লাইট মিটার মেপে হয়ত আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ করে দিতেন। তখন হয়ত ‘ব্যাড লাইট ’ বা আলোর স্বল্পতার কারনে ম্যাচের ইতি টানা হতো। তার মানে ম্যাচ ড্র হয়ে যেতে পারতো।
কিন্তু তা আর হলো কই? পাকিস্তানি অফস্পিনার সাজিদ খানের বলে তাইজুল ইসলাম লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গেল ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন। নিভে গেল টিপটিপ করে জ্বলতে থাকা সম্ভাবনার সলতে।
আসলে সম্ভাবনার প্রদীপ নিভে গিয়েছিল আগেই। অর্থ্যাৎ চা বিরতির ঠিক আগের বলে- মুশফিকুর রহিম রানআউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। তারপরও সাকিব আর মেহেদি হাসান মিরাজ চেষ্টা করেছেন।
তাদের লড়াই-সংগ্রাম শেষ হওয়ার পর দুই বোলার তাইজুল আর এবাদত যখন শেষ উইকেটে ইনিংস হার আর টেস্ট ড্র করার লড়াই-সংগ্রাম করেন, সেটাকে সম্ভাবনার সলতে ছাড়া আর কিইবা বলার থাকে?
এআরবি/আইএইচএস