‘বড় চাচা এসে ব্যাট-প্যাড, হেলমেট সব দোকানে পাঠিয়ে দেন’

আরিফুর রহমান বাবু
আরিফুর রহমান বাবু আরিফুর রহমান বাবু , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফাইনালে কিছুই করতে পারেননি। ফিরে গেছেন শূন্য রানে। তারপরও এবারের বিপিএলের আলোচিত, আলোড়িত পারফরমারদের তালিকায় তার নাম অনেক ওপরে। তিনি আর কেউ নন। ফরচুন বরিশালের ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার।

শুধু বিপিএলে সাড়া জাগানো পারফরমারই নন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে দুই নতুন মুখেরও একজন মুনিম। শুধু এবারের বিপিএলেই নয়, ময়মনসিংহের সাহসী যুবা মুনিম শাহরিয়ার মূলত নিজেকে চিনিয়েছেন গতবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই।

আবাহনীর আকাশী-হলুদ জার্সি গায়ে নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের মাঝেও ব্যাট হাতে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি।

অথচ এবারের বিপিএলে শুরুতে কেউ তাকে দলেই নেয়নি। দল না পেয়ে অনেকটা হতাশ ছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই সুযোগ পেয়ে যান ফরচুন বরিশালে। সাকিবের নেতৃত্বে খেলতে নেমে তো নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন তিনি। প্রতিটি ম্যাচেই প্রায় শুরু থেকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছেন তিনি।

Munim

যদিও ঢাকা লিগে যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে, তারপর নিয়মিত খেলার সুযোগ পেয়েছেন আসলে ২০২১ সালে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ওই এক প্রিমিয়ার লিগ আর এবার বিপিএলের ৬ ম্যাচ- তাতে নজর কেড়েই জাতীয় দলে নাম লিখলেন মুনিম শাহরিয়ার।

এত অল্প সময়ে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপানোর সুযোগ, কেমন লাগছে? জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়ে তা জানিয়েছেন মুমিন শাহরিয়ার। সাথে একান্ত আলাপে শুনিয়েছেন তার ক্রিকেটার হওয়ার গল্প। আবাহনীতে প্রথম খেলতে আসা, প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম না ওঠার পরও এবারের বিপিএলে বরিশালের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া, জাতীয় দলে প্রথম ডাকসহ অনেক অজানা কথাই বলেছেন। আসুন শোনা যাক...

জাগো নিউজ: জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেলেন, অনুভূতি কী? কেমন লাগছে?

মুনিম শাহরিয়ার: অনেক ভালো লেগেছে। আলহামদুল্লিাহ। আল্লাহর কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা। তার অশেষ দয়া। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ যে জাতীয় দলে চান্স পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।

জাগো নিউজ: আপনি কি ভেবেছিলেন এত শিগগির জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন?

মুনিম: বিপিএলের আগে এমন কোনো আশাই ছিল না। কি করে থাকবে? আমাকে তো বিপিএলের ড্রাফট থেকেই নেয়নি কেউ। পরে যখন টিম পেলাম, তখনকার ভাবনা ছিল এমন- আচ্ছা খেলি। দেখা যাক। জাতীয় দলের চিন্তা আসলে মাথায় ছিল না। তবে এতটুকু জানতাম যে বিপিএলে ভালো খেললে জাতীয় দলে সুযোগ এলেও আসতে পারে।

Munim Shahriar

জাগো নিউজ: ড্রাফটে নাম না ওঠার পরও পরে বিপিএলে কীভাবে সুযোগ পেলেন, একটু বলবেন?

মুনিম: ভাবছিলাম অকশন থেকে আমাকে নেবে; কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। পরে সুজন স্যার আর ফাহিম স্যার উনারা মালিকের সাথে আলাপ করেছেন। তারা বলেছেন, স্লট খালি আছে, নেওয়া যায়।

জাগো নিউজ: কিন্তু সুযোগ পেয়েও তো পড়ে গেলেন আরেক বিড়ম্বনায়। আপনার তো কোভিড হয়েছিল? কোভিড পজিটিভ হলেন কবে?
মুনিম: কোভিডটা ১৮ জানুয়ারি ধরা পড়েছিল।

জাগো নিউজ: কতদিন বাইরে থাকতে হয়েছিল?
মুনিম: আমি দুটি ম্যাচ টিমের সাথে ছিলাম না। সেকেন্ড ম্যাচ শেষে জয়েন করি দলে।

জাগো নিউজ: তখন কী ভেবেছিলেন আপনি নিয়মিত সুযোগ পাবেন, ফরচুন বরিশালের মতো দলে ১১ জনে জায়গা হবে আপনার?

মুনিম: বিশ্বাস ছিল সুযোগ হয়তো আসতে পারে। মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম যদি সুযোগ আসে আমি কাজে লাগাবো। যদি আল্লাহ চান তাহলে ভালো হবে। এমন অনুভব ছিল। তবে এটা সত্যি, কন্টিনিউয়াসলি এভাবে খেলবো, সেটা চিন্তা করিনি।

Munim Shahriar

জাগো নিউজ: প্রথম ম্যাচ খেলার আগে কবে প্রথম জানলেন আপনি খেলছেন?

মুনিম: চট্টগ্রামে ব্রাভো একদিন ওপেন করলেন। ভালো খেললেন না। তবে আমরা মনে হয় ম্যাচ জিতেছিলাম। পরে সুজন স্যার আসলেন। বললেন যে, তুই আমার রুমে আয়। রুমে যাওয়ার পর তিনি বললেন, তুই মনে হয় কাল খেলতেছিস। পরে বললেন মে’বি না, তুই আগামীকাল খেলবি। তুই ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলবি। সাহস নিয়ে খেলবি। আর শোন, কোনো টেনসন করবি না। একটানা ৪টা ম্যাচ খেলবি।

জাগো নিউজ: এই যে হেড কোচ সুজন আপনাকে প্রথম খেলার আগেই জানিয়ে দিলেন, ভয়-ডর ছাড়া খেলবি, আর ৪ ম্যাচ টানা খেলার সুযোগ পাবি- তাতে আপনার সাহস কতটা বেড়েছিল?

মুনিম: অবশ্যই অনেক বড় একটা সাপোর্ট ছিল সেটা। প্লেয়ারদের চিন্তা থাকে। এক ম্যাচ খারাপ খেললে যদি আর সুযোগ না পাই! আর যে কোনো কারণে প্লেয়াররা প্রেসারে ভুগতে থাকে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট বা হেড কোচ যখন এমনভাবে বলেন, তখন প্রেসার অনেকটাই কমে যায়। এটা খুবই ভালো যে, উদ্যমী করে তোলার জন্য।

জাগো নিউজ: প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা বলেন?

মুনিম: প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা বললে, প্রথমেই বলবো আমার ফেবারিট প্লেয়ার ক্রিস গেইল। তার সঙ্গে ওপেন করতে নামবো, এটা তো রীতিমতো স্বপ্নীল একটি ব্যাপার। খুব এক্সাইটেড ছিলাম। আমি আমার প্ল্যান নিয়েই নেমেছিলাম। কিন্তু রান পাইনি (ফিরে গিয়েছিলেন ১ রানে)। শর্ট ফাইন লেগ আর শট স্কোয়ার লেগের মাঝামাঝি আউট হয়েছিলাম। শর্টটা ভালো ছিল। তেমন কোনো প্রেসার ফিল করিনি। যদিও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু হয়নি।

Munim Shahriar

জাগো নিউজ: তৃতীয় ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেলেন। সে অনুভূতিটা কেমন ছিল?

মুনিম: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সাথে সেকেন্ড ম্যাচে রান পেলাম। তবে খেলার আগে একটু টেনসনে ছিলাম। কারণ বিসিএল সিলেটের যে উইকেট দেখেছিলাম, তাতে টেনসন লাগছিল এ উইকেটে কী আমি আমার ন্যাচারাল খেলাটা খেলতে পারবো? পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে পারি কি না! এমন উইকেট কী হাত খুলে খেলার মতো ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হবে? কেমন হয় না হয়, সাত-পাঁচ চিন্তা মাথায় আসছিল। কিন্তু বাস্তবে সিলেটের উইকেট অনেক ভালো ছিল। ব্যাটে বলে লাগার পরই কনফিডেন্স আসতে থাকলো।

জাগো নিউজ: প্রথম ফিফটির স্বাদটা কেমন ছিল?

মুনিম: দ্বিতীয় ম্যাচে আমি ৪৫ করে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। একটু খারাপ লেগেছে। আমি অবশ্য ফিফটির জন্য খেলিনি। যেমন- ‘ফ্লো’ চলে আসছিল, সেই ফ্লোতেই খেলে গেছি। এমন না যে ফিফটি করতে হবে- এসব ভাবনা ছিল না মাথায়। তবে যখন ফিফটিটা হলো তখনকার অনুভূতি ছিল ভিন্ন। ভালো লেগেছিল। একটা ব্যক্তিগত অর্জন। অ্যাচিভমেন্ট হয়েছে নতুন। বিপিএলে প্রথম ফিফটি ভালো লাগার মতোই অর্জন।

জাগো নিউজ: তৃতীয় ম্যাচে ফিফটির পরের দুই ম্যাচেও ঝড়ো গতির ৩৭ আর ৪৪ রানের দুটি ইনিংস খেলেছিলেন; কিন্তু ফাইনালে আর কিছুই করতে পারেননি। ফিরে গেছেন শূন্য রানে। সেটা কতটা হতাশার ছিল?

মুনিম: খুবই খরাাপ লেগেছে। ফাইনালে কিছু করতে পারলাম না। দলকে কিছু দেওয়া হলো না। সেটাই খুব খারাপ লাগার। তবে সেটা কিন্তু পেশার বা মানসিক চাপ থেকে নয়। আসলে প্রতিটি দিন এক সমান যায় না। একভাবে যাওয়া সম্ভব নয়। আপনি একদিন ভালো খেলবেন। মাঠ মাতাবেন। আবার একদিন হবেও না।

Munim Shahriar

জাগো নিউজ: সুজন স্যার কিছু বলছেন?

মুনিম: সুজন স্যার হতাশ ছিলেন বেশি। আর আমাকে নিয়ে তিনি অনেক আশাবাদী থাকেন। ফাইনালের প্রত্যাশা পূর্ণ হয়নি। খারাপ লেগেছে। ফাইনাল জিততে পারিনি। আমার মনে হয়েছে ফাইনালে আমার একটু কন্ট্রিবিউশন থাকলে হয়তো আমরা জিততাম।

জাগে নিউজ: আপনার গত বছর প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে খেললার গল্পটা একটু বলেন? আবাহনীতে জায়গা পেলেন কীভাবে?

মুনিম: আমি ড্রাফটে ছিলাম। কিন্তু টিম পাইনি। পরে সৈকত ভাই (মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত) আর শান্ত (নাজমুল হোসেন ) ফোন দিছে সুজন স্যারকে। তখন ন্যাশনাল টিম ছিল নিউজিল্যান্ডে। সুজন ভাই সেখানে ছিলেন।

ওপেনারের ঘাটতি ছিল। তখন সৈকত ভাই আর শান্ত ভাই সুজন স্যারকে বুঝিয়েছেন যে আমাদের দলে (আবাহনীতে) ওপেনার কম। ওকে (আমাকে) দেখতে পারেন। সেভাবেই তাদের মাধ্যমে আবাহনীতে প্রথম খেলতে আসা।

জাগো নিউজ: আবাহনীতে কেমন কেটেছিল?

মুনিম: ২০১৯-এ তেমন ভালো যায়নি। ম্যাচও পাইনি। মিডল অর্ডারে খেলতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচ পেয়েছিলাম। ভালো হয়নি তেমন। এরপর ২০২০-এ এক ম্যাচ হয়ে প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে গেলো। আর খেলা হলো না। সে ম্যাচ আমি খেলিনি।

Munim Sahriar

জাগো নিউজ: তারপর আবাহনীর হয়ে নিয়মিত ওপেন করার গল্পটা একটু বলেন?

মুনিম: গত প্রিমিয়ার লিগটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ায় সুযোগ এসেছিল আমার। সেখানেও প্রথম দুই ম্যাচে ২০-২৫ এর মতো রান হচ্ছিল। তাতে আমার একাদশে জায়গা হাতছাড়া হলো। আমাকে ড্রপ দেওয়া হলো দুই ম্যাচ। ড্রপ পড়ার পর আবার সুযোগ পাই। প্রাইম ব্যাংকের সাথে তখন আমি ৫০ বলে ৯২ রানের একটা ইনিংস খেলি। এর পরের ম্যাচে আবার রান পাই। এবার ৭৪ করি ৪০ বলে। সেভাবেই আসলে আমার কনফিডেন্স বেড়েছে।

জাগো নিউজ: প্রথমবার জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পাচ্ছেন, কবে কখন কার কাছ থেকে এ সুখবর প্রথম শুনলেন?

মুনিম: স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনেক ফোন চলে আসছিল। বিসিবি থেকে ক্রিকেট অপসের পক্ষ থেকে শাহরিয়ার নাফীস ভাই ফোন দিয়েছিলেন। তারও ঠিক মিনিট খানেক আগে এক সাংবাদিক ভাইয়ের কাছ থেকে খবরটা পেয়ে যাই।

জাগো নিউজ: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার গল্পটা একটু শোনাবেন?

মুনিম: সার্কিট হাউজ মাঠ। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট টানতো খুব। আমার আব্বা আমাকে আমাদের বারান্দায় বল ছুড়ে দিতেন, মানে বোলিং করতেন আর আমরা ব্যাটিং করতাম। খুব ভালো লাগতো ব্যাট করতে। এরপর পাড়ার ক্রিকেট খেলেছি বন্ধুদের সাথে।

তখন তো সবাই খেলতো। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে স্কুল ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লাম। এরপর সম্ভবত ২০১০ কি ২০১১ সালের ঘটনা। আমি তখন সেভেন না হয় এইটে পড়ি। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল টিম গড়া হলো, সেখানে প্র্যাকটিসে ডাক এলো। আমি যোগ দিলাম। চান্সও পেলাম। সেখান থেকে আমার ক্রিকেটে ঢোকা।

Munim Shahriar

জাগো নিউজ: ক্রিকেটার হওয়ার পথে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা ছিল?

মুনিম: না, না ঠিক বাধা ছিল না। তবে আব্বা প্রথম দিকে তেমন একটা সাপোর্ট দেননি। না দেওয়ার যৌক্তিক কারণও ছিল। তিনি ভাবতেন ক্রিকেটারদের তো অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা নেই তেমন। আর এত এত ক্রিকেটারের মধ্যে কী আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো? তারও তো নিশ্চয়তা ছিল না। তেমন আত্মবিশ্বাসও ছিল না।

আর আমিও তো তখন তেমন কোনো পারফরম্যান্সও করে দেখাতে পারিনি। তাই আব্বা একটু সংশয়ে ছিলেন। তবে বড় চাচা খুব কঠোর বিরোধিতা করেছিলেন। তিনিই আমাদের প্রধান অভিভাবক ছিলেন। তিনি পড়াশোনাকে অগ্রাধিকার দিতেন খুব বেশি।

বড় চাচা এসে আমার ব্যাট-প্যাড, হেলমেট সব দোকানে ফেরত দিয়ে বললেন, ব্যস অনেক হয়েছে। আর ক্রিকেটার হওয়ার দরকার নেই। তখন ছোট চাচা ফিরিয়ে আনলেন সব, আব্বার সাপোর্ট ছিল। এরপর যখন আমি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলতে শুরু করলাম, তখন সাপোর্ট বেড়েছে। এখন তো সবাই আমার পাশেই আছেন। আমাকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুণ জাতীয় দলে ঢোকার পর ন্যাচারাল ক্রিকেটটা খেলতে পারেন না। আপনার কী মনে হয়?

মুনিম: আসলে কে কি পারে, না পারে- সে ব্যাপারে আমি বলতে পারবো না। সেটা তাদের ব্যাপার, তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমারটা হলো, আমি চেষ্টা করবো। আমি শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে ট্রাই করবো দেশের জন্য ভালো কিছু করার। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই আমার কাছে সুযোগ পাওয়াই শেষ কথা নয়, পারফর্ম করে দলে টিকে থাকা এবং জায়গা ধরে রাখাই প্রথম কথা।

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।