রস টেলরকে চড় মেরেছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের মালিক

নিজের আত্মজীবনীতে একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার রস টেলর। একদিন আগেই তার আত্মজীবনী থেকে জানা গিয়েছিল, ড্রেসিংরুমে চরম বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটারই এই বর্ণবাদের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন টেলর।
নিজের সেই আত্মজীবনীতে শুধুমাত্র নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটই নয়, আইপিএল নিয়েও চরম অভিযোগ তুলে ধরলেন টেলর। আইপিএল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে তিনি জানালেন, আইপিএলে খেলার সময় খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে দলের মালিক তাকে তিন-চারবার চড় মেরেছিলেন। টেলরের ধারণা, সেই চড় মোটেই মজা করে মারা হয়নি।
আত্মজীবনী ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’-এ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় ঘটে যাওয়া এই বাজে ঘটনার শিকার হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তখন আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে খেলতেন টেলর। লিখেছেন, ‘মোহালিতে সেই ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছিল রাজস্থান। জয়ের জন্য ১৯৫ রান তুলতে হতো। আমি শূন্য রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যাই। লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও যেতে পারিনি আমরা।’
এরপর টেলর যোগ করেন, ‘ম্যাচের পর পুরো দল, সাপোর্ট স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট হোটেলের সবচেয়ে উপরের ফ্লোরে একটি বারে ছিল। সেখানে শেন ওয়ার্নের সঙ্গে লিজ হার্লিও ছিল। হঠাৎ রাজস্থানের এক মালিক আমাকে এসে বলে, রস, তোমাকে লাখ লাখ ডলার দিয়ে শূন্য রান করার জন্য নিয়ে আসিনি। এর পরেই আমাকে তিন-চার বার চড় মারেন তিনি।’
টেলরের অভিজ্ঞতা এখানেই শেষ হয়নি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘ওরা ওই ঘটনার পরে হাসাহাসি করছিল। হয়তো ভেবেছিল খুব জোরে চড় মারেনি; কিন্তু একবারও মনে হয়নি সেটা অভিনয় ছিল। কোনও দিনই এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইনি। তবে কোনও পেশাদার প্রতিযোগিতায় এ রকম হতে পারে বলে আমার ধারণা ছিল না।’
আইপিএলে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ২০০৮-২০১০ পর্যন্ত খেলেন টেলর। ২০১১ সালে খেলেন রাজস্থানের হয়ে। এরপর দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (এখন দিল্লি ক্যাপিটালস) এবং পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়েও খেলেছেন। যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেটা নিশ্চিতই ২০১১ সালের ঘটনা।
তবে রস টেলরের তুলে দেওয়া এই অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ।
রাজস্থান রয়্যালসের মালিক কারা
রয়্যালস ফ্রাঞ্চাইজি ২০০৮ সালেই প্রথম আইপিএলে শিরোপা জিতে নিয়েছিল। ওই সময় ফ্রাঞ্চাইজিটির মালিক ছিল জয়পুর আইপিএল ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেড। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর একটি সম্মিলিত প্রতিষ্ঠান এটা। এর মধ্যে যারা বিনিয়োগ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ট্রেসকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (সুরেশ চেলারাম পরিবার) ৪৪.২% শেয়ার। ইমার্জিং মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটে, মালিক হচ্ছেন মনোজ বাদালে, ৩২.৪% শেয়ার। ব্লু ওয়েস্ট ইস্টার্ন লিমিটেড, মালিক লালচান মার্ডক, ১১.৭% শেয়ার।
২০০৯ সালে ফ্রাঞ্চাইজিটির ১১.৭% শেয়ার বিক্রি করা হয়। কিনে নেয় কুকি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। যার মালিক ছিলেন রাজ কুন্দ্র। বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী তিনি। জানা গেছে, এই ১১.৭% শেয়ারের মূল্য ছিল তখন ১ কোটি ৫৪ লাভ ডলার প্রায়। রস টেলর অবশ্য এদের কারো নামই উল্লেখ করেননি।
আইএইচএস/