দুই বন্ধুর লড়াইয়ের পর পারভেজ ইমনের কাছে হার তামিমের

তাদের সম বয়সী ও যুব বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের শরিফুল, শামীম পাটোয়ারী, মাহমুদুল হাসান জয় ও তাওহিদ হৃদয়রা কোন না কোন ফরম্যাটে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
পাশাপাশি বাঁ-হাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও শুরুর দিকে নিজেকে মেলে ধরে জাতীয় দলে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু জাযগা ধরে রাখতে পারেননি। এখন আবার নিজেকে মেলে ধরার সংগ্রামে পারভেজ ইমন। ওদিকে যুব দলের আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শুরু থেকেই নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে না পেরে বাইরে বাইরেই কাটাচ্ছিলেন।
কিন্তু দীর্ঘদিন পর আজ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন সেই বিশ্ববিজয়ী যুব দলের দুই ওপেনার। যেখানে দারুন এক সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম; কিন্তু তার বল সমান ১৪২ রানের (১৪ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা) বিরাট ইনিংসেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি তার দল ব্রাদার্স।
ম্যাচ জিতেছে পারভেজ হোসেন ইমনের লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বন্ধু তানজিদ তামিমের মত অত বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ব্যাট হাতে ব্রাদার্স বোলিংকে এলোমেলো করে দিয়েছেন বাঁ-হাতি পারভেজ ইমন। ১৫৩.৪৯ স্ট্রাইকরেটে ৭ বিরাট ছক্কা আর ৪ বাউন্ডারিতে পারভেজ ইমনের ব্যাট থেকে আসা ৪৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে খেই হারিয়ে ফেলেন ব্রাদার্স বোলাররা। ৩ উইকেট হাতে রেখে খেলার ৮ বল বাকি থাকতে ৩০০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
ওদিকে এক ম্যাচ পর ফিরে বল (১০ ওভারে ১/৬৯) ও ব্যাট হাতে (০ রানে প্রথম বলেই আউট) নিজেকে খুঁজে পাননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। অধিনায়ক জ্বলে উঠতে না পারলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের তেজ কমেনি একচুলও। টিম পারফরমেন্স দিয়েই ব্রাদার্সের ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে মাশরাফির দল।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ২৯৯/৫, ৫০ ওভার (মিজান ২০, তানজিদ হাসান তামিম ১৪২, সাব্বির হোসেন ৩৭, আনিসুল ইসলাম ২৮, মাইশুকুর ৫৩*; চিরাগ জানি ২/৪৭, সোহাগ গাজী ১/৩৫, আল আমিন ১/৬৭, মাশরাফি ১/৬৯)।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৩০২/৭, ৪৮.৪ ওভার (মুনিম শাহরিয়ার ১০, পারভেজ ইমন ৬৭, সাব্বির রহমান রুম্মন ৩৪, ইরফান শুক্কুর ৫৩, চেরাগ জানি ৯৪, তানবির হায়দার ১৩, সোহাগ গাজী ১৩*; সাব্বির হোসেন ৩/৪১, রাহাদুল ফেরদৌস জাভেদ ৩/৬০, সঞ্জিত সাহা ১/৫১)।
ফল: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৩ উইকেটে জয়ী।
এআরবি/আইএইচএস