ক্রিকেটারদের মানসিক স্বস্তি আর স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে হাথুরু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৩

ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের একের পর এক ইতিহাস গড়া এবং সাফল্যের সিড়ি বেঁয়ে ওপরে ওঠা দেখে বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকরা পুলকিত, উদ্বেলিত।

ক্রিকেটারদের ভাল খেলার তাগিদ ও আত্মনিবেদন বেড়ে যাওয়া এবং মাঠে অনেক বেশি ভাল খেলা দেখার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উকিঝুঁকি দিচ্ছে, ‘আচ্ছা, হাথুরুসিংহের হাত ধরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন যুগের সূচনা হলো? টিম বাংলাদেশ কি নতুন পথে পা বাড়াতে শুরু করলো?’

যার কোচিংয়ে ব্যক্তিগত ও দলগত নৈপুণ্যে উন্নতির সুস্পষ্ট আভাস, ভালো খেলার দুর্নিবার আকাঙ্খা জাগ্রত এবং সবার মাঝে নিজেকে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে উপস্থাপনের জোর তাগিদ; সেই হাথুরুসিংহে কী মনে করেন?

আজ রোববার চট্টগ্রাম সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে ঠিক এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ হেড কোচ।উত্তর দিতে গিয়ে হাথুরু কথা বলেন কৌশলে।

আমার হাত ধরেই নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, সরাসরি মুখ ফুটে এমন কথা বলতে রাজ্যের দ্বিধা তার। তাই মুখে বললেন, ‘না, না। আমি কোনো নতুন যুগের সূচনা দেখছি না। মনেও করছি না।’

তাহলে টিম বাংলাদেশের অ্যাপ্রোচ, নিবেদন ও পারফরম্যান্সে যে পরিষ্কার উন্নতি, সেটা কিভাবে? হাথুরু বোঝানোর চেষ্টা করেন, আসলে নতুন যুগ বলে কিছু নেই। তার দল আগামীতে আগ্রাসী আর আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে সামনে এগোতে, সেটাই লক্ষ্য।

তবে এই আগ্রাসী ক্রিকেটের ধরনটা কেমন হবে, তার একটা ধারণাও দিলেন হাথুরু। তিনি বলেন, ‘আগ্রাসী ক্রিকেট বলতে আমি সব ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক ও আগ্রাসী হওয়ার কথা বুঝিয়েছি। দল নির্বাচন থেকে শুরু করে কৌশল নির্ধারণ, টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল বিষয়াদি, শরীরী ভাষা, ফিল্ডিং, ব্যাটি-বোলিং অ্যাপ্রোচ; সব ক্ষেত্রেই আমাদের আরও আগ্রাসী হতে হবে।’

হাথুরু যোগ করেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব ভালো খেলতে চাই। যখন এই দল স্বাধীনভাবে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে, তখন সবসময়ই ভালো করেছে।’

এই স্বাধীনভাবে খেলা নিয়েও অনেক খোলামেলা মন্তব্য করেছেন হাথুরু। অনেকেই বলেন, তিনি কড়া মেজাজের শিক্ষক। কিন্তু এবার শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের মানসিক স্বস্তি আর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে হাথুরু।

তার কথা, ‘ক্রিকেটারদের মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে পূর্ণ স্বস্তি আর স্বাধীনতা খুব জরুরি। যাতে তারা নির্ভয়ে, নিঃসংকোচে নিজের খেলাটা খেলে যেতে পারে এবং সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে কোনোরকম নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার উদ্রেক না ঘটে।’

হাথুরু শেষ করেন এভাবে, ‘সবাইকে ক্রিকেটারদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এসব ক্রিকেটারই ছিল, তারা আছে। তাই তাদের ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুব দরকার।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।