সেঞ্চুরির আক্ষেপ লিটনের, বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ

১৮ বলে দেশের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটি করেছেন। ৪০ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৮৩ রানে। সুযোগ ছিল বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরির। কিন্তু ১৭ রানের জন্য তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁতে পারলেন না লিটন দাস।
বেন হোয়াইটের ওয়াইড বলটি ব্যাটে লাগাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছেন লিটন। ৪১ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে লিটন হাঁকান ১০টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫০ রান। সাকিব ১৭ আর তাওহিদ হৃদয় শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪২ বলে ৯১ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েছিলেন লিটন দাস আর রনি তালুকদার। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও উড়ন্ত সূচনা করেন তারা।
৩.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেন লিটন-রনি। এটিই বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ। এর আগে ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫০ করেছিল বাংলাদেশ।
উইকেটের চারদিকে বাহারি সব খেলতে থাকেন লিটন-রনি। আইরিশ বোলাররা চোখেমুখে সর্ষেফুল দেখছিলেন। ৭.১ ওভারেই ১০০ ছোঁয় বাংলাদেশ। এটা টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরি পূরণের রেকর্ড (৪৩ বৈধ ডেলিভারিতে)। এর আগে রেকর্ডটি ছিল আগেই ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮.৫ ওভারে।
লিটন দেশের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন ১৮ বলে। রনি তালুকদারেরও সুযোগ ছিল ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার। সেই চেষ্টা করেছিলেনও তিনি।
কিন্তু বেন হোয়াইটকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন রনি। ২৩ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি চার আর ২টি ছক্কার মার। দশম ওভারে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে টস সময়মতোই হলো। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড। এরপরই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার কথা ছিল দুপুর দুইটায়। সেটা হয়নি।
বৃষ্টির কারণে অনেকটা সময় খেলা বন্ধ থাকে। ৩টা ১৫ মিনিটে ১৯ ওভারের খেলা শুরুর সময় দেওয়া হয়। কিন্তু মাঠ প্রস্তুত করার সময় ফের নামে বৃষ্টি। তাই ওই সময়ও খেলা শুরু করা যায়নি।
এরপর আরও একবার বৃষ্টি থামলে নতুন করে খেলা শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয় ৩টা ৪০ মিনিটে। ওভার কাটা গেছে ৩টি করে। অর্থাৎ দুই দল ১৭ ওভার করে পাবে এই ম্যাচে।
এমএমআর/জিকেএস