সামাজিক দূরত্ব মেনে খেলে ৩৭ গোল হজম করল জার্মান ক্লাব
করোনাভাইরাস লকডাউনের পর সর্বপ্রথম পেশাদার ফুটবল শুরু করেছিল জার্মানি। সবার আগে ২০১৯-২০ ফুটবল মৌসুমও শেষ করেছে জার্মানিই। তবে দেশটি যে করোনামুক্ত- এমনটা নয়। বরং সর্বোচ্চ সতর্কতা নিশ্চিত করেই শুরু করা হয়েছিল বুন্দেসলিগা ও অন্যান্য ফুটবল টুর্নামেন্ট।
এবার এই করোনা বিধিনিষেধ পালন করতে গিয়েই এক ম্যাচে ৩৭ গোল হজমের নজির গড়েছে জার্মানির ১১তম ডিভিশনের দল রিপডর্ফ। গত রোববার করোনা বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলেছে রিপডর্ফ। সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ দল এসভি হোল্ডেনস্টেডও একের পর এক গোল করেছে তাদের জালে।
এক্ষেত্রে রিপডর্ফের দায় কিংবা করোনা ভয়ের কথা উঠে আসলেও, এ ভয় পুরোপুরি পুরোপুরি যৌক্তিক। কেননা এই ম্যাচের আগে হোল্ডেনস্টেডের খেলোয়াড়রা এডেলস্টোর্ফের বিপক্ষে তাদের আগের ম্যাচটিতে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন।
এই খবর জানার পরেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে না থেকেই রিপডর্ফের বিপক্ষে খেলতে নেমে যায় হোল্ডেনস্টেড। এমন পরিস্থিতি দেখে ম্যাচটি পিছিয়ে নেয়ার আবেদন করেছিল রিপডর্ফ। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, হয় ম্যাচ খেলতে হবে নয়তো বড়সড় শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিতে হবে।
যে কারণে একপ্রকার বাধ্য হয়েই রোববারের ম্যাচটি খেলতে নামে রিপডর্ফ। কিন্তু যেহেতু করোনা ঝুঁকি ছিল, তাই তারা ম্যাচটি খেলেছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। অর্থাৎ কোনো খেলোয়াড় অন্য খেলোয়াড়ের কাছাকাছি আসেননি কিংবা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দেরও চার্জ করতে যাননি।
এই সুযোগে একের পর এক গোল করেছে হোল্ডেনস্টেড। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে স্কোরলাইন দেখা যায় ৩৭-০ গোলে জিতেছে হোল্ডেনস্টেড। অথচ এই করোনা ঝুঁকির কারণে হোল্ডেনস্টেডের আরেক একাদশের ম্যাচ ঠিকই বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় চাপ দিয়েই খেলতে বাধ্য করা হয়েছে রিপডর্ফে।
ম্যাচের ঘটনা বর্ণনা করে সংবাদমাধ্যমে রিপডর্ফ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক রিস্টো বলেছেন, ‘আমাদের দলের বেশ কিছু খেলোয়াড় ম্যাচ শুরুর আগেই জানায় যে, তারা নিরাপদ থাকার জন্য হোল্ডেনস্টেড খেলোয়াড়দের কাছাকাছি যাবে না। এছাড়া ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় হোল্ডেনস্টেডের একটি ম্যাচ ঠিকই বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু আমাদেরটা করা হয়নি।’
তবে ভিন্ন মত হোল্ডেনস্টেডের কোচ ফ্লোরিয়ান শায়েরওয়াটারের। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচটি না খেলার কোনো কারণ ছিল না। যেই খেলোয়াড় করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনো খেলোয়াড়ের সংস্পর্শ ছিল না। আমি ঐ খেলোয়াড়কে হ্যালো বলেছিলাম। তবু সতর্কতাস্বরুপ আমারও করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে।’
এসএএস/পিআর