ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফির অজানা কথা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২২

আর মাত্র কয়েকদিন পরই কাতারে শুরু হচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর। আগামী ২০ নভেম্বর বাজবে কিকঅফের বাঁশি। টানটান উত্তেজনায় আসন্ন এ বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করছে গোটাবিশ্ব।

ফুটবল বিশ্বকাপ সর্বপ্রথম ১৯৩০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে। এরপর থেকে প্রতি চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফুটবলের এ বিশ্বযুদ্ধ। তবে মাঝে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ আর ১৯৪৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি।

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ী লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। পাঁচবার বিশ্বসেরার ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলছে সেলেসাওরা। এছাড়া চারবার করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে জার্মানি এবং ইতালি।

বিশ্বকাপ শুরুর সময় ট্রফির নাম ছিল ‘জুলেরিমে ট্রফি’। ১৯৪৬ সালে প্রথম ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলেরিমেকে সম্মান জানিয়ে তার নামে ট্রফির নামকরণ করা হয়। তবে ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপের ৪ মাস আগে ইংল্যান্ডে এক প্রদর্শনী থেকে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। তবে সাতদিন পর ট্রফিটি উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে চুরি ঠেকাতে প্রদর্শনীতে রেপ্লিকা ট্রফি ব্যবহার করা হয়।

১৯৭০ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের নবম আসরে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তৃতীয়বার বিশ্বসেরা হওয়ার পর স্থায়ীভাবে জুলেরিমে ট্রফি তাদেরকে দিয়ে দেয়া হয়। যদিও সেলেসাওদের কাছে থেকে ১৯৮৩ সালে ফের এই ট্রফি খোয়া যায়।

ব্রাজিলকে জুলেরিমে ট্রফি পাকাপাকিভাবে দিয়ে দেয়ার পর ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপের নতুন ট্রফি উন্মোচন করা হয়। সিলভিও গানজানিগা এই ট্রফির ডিজাইন করেন। বর্তমান এই ট্রফির উচ্চতা ৩৬.৮ সেন্টিমিটার। ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে বিশ্বকাপ শিরোপটি। ৬.১৪২ কেজির মধ্যে ৫ কেজিই সোনা। বিশ্বকাপের ডিজাইন এমনভাবে তৈরি করা, দেখলে মনে হবে দু’জন মানুষ হাত দিয়ে পুরো পৃথিবীকে স্বাগত জানাচ্ছে।

১৯৭৪ সালে নতুন বিশ্বকাপ ট্রফির প্রথম ব্যবহার হয়। সেবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি। এরপর থেকে পাকাপাকিভাবে কোনও দেশকেই বিশ্বকাপ ট্রফি দেয়া হয় না। চার বছর কেবল বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের কাছে রাখতে পারে কোনও দেশ। এরপর শিরোপাজয়ী দলকে দেয়া হয় একটি রেপ্লিকা।

কেএ/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।