বকেয়া বেতনের দাবিতে মোহামেডান ফুটবলারদের আল্টিমেটাম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৫

আগামী সোমবার কুমিল্লায় আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ মোহামেডানের। বাংলাদেশ ফুটবল লিগের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পাওয়া সাদাকালোদের জন্য ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি ম্যাচের আগে দলটির খেলোয়াড়রা বকেয়া বেতনের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন। তারা অনুশীলন করতে চাননি, আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচও খেলতে চাননি।

মোহামেডান ফুটবল দলের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব শনিবার মন খারাপ করে বলছিলেন, ‘ফুটবলাররা অনুশীলনই করতে চাননি না। আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচের জন্য তাদের রাজি করিয়েছি। এরপর কি হবে আমি বুঝতে পারছি না।’

ফুটবলাররা কি বলেছেন? তারা কি আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ খেলে তার পর থেকে অনুশীলন বয়কট করবেন? নকীব বললেন, ‘না। তারা আলটিমেটাম দিয়েছেন এ মাসের দুটি ম্যাচ খেলবেন এবং তারপর সমাধান না হলে ১ ডিসেম্বর থেকে অনুশীলন বয়কট করবেন। সোমবারের পর আমাদের পরের ম্যাচ ২৯ নভেম্বর ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের বিপক্ষে।’

ফুটবলের তো একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। তারা কি উদ্যোগ নিয়েছে? ‘এই কমিটির সাথে ভিডিও কলে মিটিং করেছি। আমি তাদেরকে বলেছি দায়িত্বশীলদের কাথে কথা বলতে। তারা কেউ বলছেন না। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতেও পারছেন না। তা হলে আমি কি করবো?’- বলছিলেন নকীব।

বিদেশি ফুটবলারদের কি অবস্থা? তাদের বেতন কয়মাস বাকি? নকীব বলেছেন, ‘কারো বকেয়া ৩ মাস, কারো দুই-আড়াই মাস। আর স্থানীয়দের তো আমরা দেই-দিচ্ছি, এভাবে ম্যানেজ করি। বড় সমস্যা হলো বিদেশিদের নিয়ে। কিছু সমস্যা তো স্থানীয়দের নিয়েও আছে। এমন হলে তো আমি শৃঙ্খলাও রাখতে পারি না। কেউ কেউ না বলেই খেপ খেলতে চলে যাচ্ছে।’

ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান, ক্লাবটির অন্যতম পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। অনেকদিন ধরেই দায়িত্বে আছেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠানের লোগো লাগানো জার্সিতে খেলেন মোহামেডানের ফুটবলাররা। ম্যানেজার নকীবের কথা, ‘ফুটবলের টাকা-পয়সার ব্যবস্থা ক্লাব সভাপতি ও ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান করে আসছেন। তবে এখন ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ফোন ধরেন না। ম্যাসেজ দিয়েছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচের খরচ পাঠিয়েছেন। ক্লাবের বিষয়ে তাকে আর ফোন না করতে।’

আর সম্পাদক তো আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স? নকীব বলেছেন, ‘তিনি তো ক্লাবেই আসেন না।’

তাহলে এখন চলছে কিভাবে ফুটবল দল? নকীব বলেন, ‘আমরা ধার দিয়ে চালাচ্ছি। এই যে প্র্যাকটিস হচ্ছে কোনো টাকা তো পাচ্ছি না। আমি চালিয়ে নিচ্ছি। আমি ক্লাবের কাছে পাবো ১২ লাখ টাকা। ছাইদ হাছান কানন পাবে ৫ লাখ টাকা। তিনি তো কোচও। কোচিং স্টাফের কেউ চার মাস ধরে এক টাকাও পায়নি।’

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।